কুষ্টিয়া: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ফায়াজের বাবা বরকত উল্লাহ কাগজপত্র নিয়ে কলেজে যান। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ফায়াজকে ভর্তি করে নেয়।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদির বলেন, আজ বেলা তিনটার দিকে ফায়াজের বাবা কলেজে আসেন। ঢাকা কলেজের ছাড়পত্রসহ কাগজপত্র জমা দেন। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়াজকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। এখন থেকে সে এই কলেজেই পড়াশোনা করবে। এখান থেকেই তার শিক্ষাজীবন চলতে থাকবে।
ফায়াজের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ‘ফায়াজ অসুস্থ থাকায় আমিই তার কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। কাগজপত্র দেওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি করে নিয়েছে।’
একই কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লাল মোহাম্মদ বলেন, ফায়াজের পড়াশোনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাকে নজরে রাখা হবে, যাতে সে ভালো করে পড়াশোনা করতে পারে। কলেজ ক্যাম্পাসে তার নিরাপত্তার দিকটিও দেখা হবে।
৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। ভাইয়ের এ ঘটনার পর আবরার ফায়াজ ঢাকায় পড়তে অনীহা প্রকাশ করে। সে ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ১২ অক্টোবর কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সে জানায়, ভাইকে হারিয়ে সে একা হয়ে পড়েছে। ভাই তার সব বিষয়ে খেয়াল রাখত। ভাই নেই, তাই সে–ও ঢাকায় থাকবে না।
গত ১৫ অক্টোবর সে ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে। ওই দিনই বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে ছাড়পত্র দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।