ঢাকা: জিন ভর করেছে আমাদের ওপর। আপাতত তাই জিনের আছরেই আছি। হল পর্যন্ত ছবিটি না গড়ানো পর্যন্ত জিনের আছর কাটবে না। এর পর আশা রাখি এই জিন দর্শকদের ওপর ভর করবে। দর্শকদের ওপর ভর করলেই আমরা সফল।’ এফডিসিতে কথাগুলো বলছিলেন অভিনেতা সজল। জিন ভর করেছে আপনাদের ওপর। আপনি ছাড়া এই ‘আমাদের’ মধ্যে আর কারা আছে? এমন প্রশ্ন রাখলেই উত্তরে সজল বলেন, আমার সঙ্গে আছেন পূজা চেরি, রোশান ও মুন। সবচেয়ে বেশি ভর করেছে নাদের চৌধুরীর ওপর। আরও অনেকেই আছেন।
গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা। এমনিতেই সন্ধ্যার পর এফডিসিতে ভুতুড়ে অবস্থা মনে হয়। ওই দিন জিনের সেটে যাওয়া হবে বিধায় এই ভুতুড়ে অবস্থা আরেকটু বেশি অনুভূত হয়। সেটে যাওয়ামাত্র জিনের প্রধান কাণ্ডারি হাস্য বদনে ছুটে আসেন সজল। জিজ্ঞেস করেন, কিরে! জিনদের দেখতে আইছস! বলি, আপনারা তো জিন নয়, জিন আপনাদের ওপর আছর করেছে।
সজলের সঙ্গে যখন কথা হয় তখন সাদা গাউনে শট দিচ্ছিলেন পূজা চেরি। কিছুটা গুরুগম্ভীর হয়ে শট দিচ্ছিলেন তিনি। প্রথমবার এনজি হওয়ার পরই দ্বিতীয় শটে ওকে। পরক্ষণেই বিশ্রাম। মেকআপ পরিবর্তন করতে হবে। এই ফাঁকে পূজাও এসে বসেন পাশে। জিনের আছরে কেমন বোধ করছেন? পূজার চটপট উত্তর, জিন যাকে আছর করে তার অবস্থা কী হয় সেটা তো সবাই ভালো করে জানেন। তবে যাই বলেন কাজটি কিন্তু দারুণ হচ্ছে। সজল ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করছি এতে। এটা আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’
সজল-পূজার আশাবাদের গল্প শেষ হতে না হতেই মেকআপ রুমে প্রবেশ করেন জিনের আরেক জুটি রোশান-মুন। আড্ডায় প্রাণ হয়ে ওঠেন তারাও। তুমুল জমে উঠে আড্ডা। এরই মাঝে ডাক পড়ে পূজার। কেউ একজন এসে বলে, আপা, শট রেডি। বিদায় নেন পূজা। তার চলে যাওয়ার পর সজলের কাছে জানতে চাওয়া হয়। ছোট পূজার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? সজল অবাক হন। পাল্টা প্রশ্ন। কে ছোট? সে তো পাকনা বুড়ি! ক্যামেরার সামনে কখনও মনে হয়নি তার বয়স কম। পাক্কা একজন অভিনেত্রী। বয়সের চেয়ে অভিনয়ে বেশ পরিণত সে। অবশ্যই তার সঙ্গে অভিনয় আমার অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে রোশান ও মুনও দারুণ করছে। সব মিলিয়ে এই জার্নি নিয়ে দারুণ সময় কাটালাম। মনে থাকবে সময়টা।
এতক্ষণে সজলের ডাক পড়েছে। তিনিও ওঠেন শট দিতে। ততক্ষণে রাতের আঁধারও গাঢ় হয়েছে বেশ। আকাশে মেঘ নেই। উঠেছে চাঁদ। অসংখ্য তারার মেলাও বসেছে। মনে হচ্ছে, হাসিমুখে মানুষের সৌল ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে।