ঢাকা: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মরণে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোক সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। বুধবার সন্ধ্যায় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া এ কথা জানান।
সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া হলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি করবে জানতে চাইলে জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, এটা জানা দরকার, সরকার আমাদের অনুমতি না দেয়া মানে হচ্ছে সংবিধানকে লঙ্ঘন করা। সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মধ্যে সভা-সমাবেশ করা, বক্তব্য রাখা মানুষের অধিকার। এখন সরকার যদি তা ভূল করে, তাহলে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করলো। আমি তো মনে করে দেশের মানুষ তাদেরকে গাড় ধরে বের করে দেয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি না দিলেও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতেই হবে। তারা (সরকার) অনুমতি দেবে কি দেবে না এটা তাদের বিষয়। অবস্থা বুঝে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, ২২ অক্টোবর বেলা ৩ টা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা হবে। সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠকে দেশের সার্বিক বিষয়ে কথা হয়েছে। সমাবেশে আমরা দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রস্তাব দেবো। এছাড়া সমাবেশে আমরা ব্যাংক খাত, শেয়ার বাজার, দেশের সার্বিক দুর্নীতি নিয়ে সুনিদিষ্ট বক্তব্য প্রস্তাবও দেবো।
তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে দেশে-বিদেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এটা কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, তার বিস্তারিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও জোটের শরিক দলের ওয়েব সাইটে জানানো হবে। এর ফরমেট ওয়েসসাইটে দেয়া হবে।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বেঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্প ধারার বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণফোরামরে আবু সাইয়দি, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমদ, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ উর রহমান, মমিনুল ইসলাম, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমূখ।