টঙ্গী: মঙ্গলবার টঙ্গীর মিলগেট বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। তার নাম হাবিবুর রহমান খান। এ ঘটনায় ছাত্ররা দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ১ ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। নিহত হাবিবুর রহমান খান (১৮) মিলগেট নামা বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম খানের ছেলে।
পরিবারিক সূত্র জানায়, টঙ্গী সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র হাবিব খান ভিআইপি-২৭ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের দরজায় ঝুলে কলেজে যাচ্ছিলেন। এ সময় গাজীপুর গামী বলাকা পরিবহনের অপর একটি বাস হাবিবকে বহনকারী বাসকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে ছিটকে পড়েন।
এ সময় বাসের প্রচন্ড ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তিনি মারা যান। তার মৃত্যু সংবাদ কলেজে ছড়িয়ে পড়লে ওই কলেজের ছাত্ররা মিলগেট বাস ষ্ট্যান্ডে এসে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা মহা সড়কে চলাচলরত কয়েকটি বাসের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ি যত্রতত্র রেখে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে মহা সড়কে বসে পড়েন।
এ সময় তারা বাস চালকের শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের অবরোধে বেলা এগারটা থেকে এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শাহাদাত হোসেন, গাজীপুর ট্রাফিক দক্ষিনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছে ছাত্রদের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
কলেজের ছাত্ররা জানান, সম্প্রতি টঙ্গী-গাজীপুর সড়কে বাস ছাড়া অন্যান্য সকল যান বাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে তীব্র যান সংকট দেখা দিয়েছে টঙ্গী-গাজীপুর সড়কে। যাত্রীবাহী বাসগুলোও দরজা বন্ধ করে চলাচল করে। ছাত্র-ছাত্রী দেখলে বাস থামানো হয় না। এ অবস্থায় যাত্রীরা জোর পূর্বক দরজায় ঝুলে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। যানবাহনের এই সংকট ও অব্যবস্থাপনার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা অবিলম্বে বিকল্প অন্যান্য যানবাহন চলাচলের দাবি জানিয়েছেন।