ঢাকা: যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের মুক্তির দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। সম্রাটের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে সম্রাটকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। তবে তার আগেই সকাল থেকে আদালত চত্বরে ভিড় করতে থাকে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সড়কসংলগ্ন ফটক ও ভবনের মূল ফটকে অবস্থান করেন এসব কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ মূল গেইটের সামনে থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলেও সেখানেই অবস্থান নেন তারা। বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণের ভেতরে থেকে তাদের পুলিশ বের করে দিয়ে প্রধান গেট আটকে দেয়। বর্তমানে তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করে স্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রায়সাহেব বাজার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের গেট পর্যন্ত অবস্থান নেন যুবলীগের সমর্থকরা। বেলা পৌনে ১২টায় সম্রাটকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রমনা থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো পূর্বক ২০ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য তাঁদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশনা ছিল।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের এবং আরমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ দিন রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। একই সঙ্গে এসব মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপরও শুনানি ছিল। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ওই দিন সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। আরমানকে অবশ্য মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দুজনের রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী।
গত ৭ অক্টোবর রাতে রমনা থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আরমানকেও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তাঁর সহযোগী আরমানকে গত ৬ অক্টোবর ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। আরমান মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়। আর সম্রাটকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ওই দিনই সম্রাটের কার্যালয় রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালায় র্যাব। উদ্ধার করা হয় এক হাজার পিস ইয়াবা ও সংরক্ষণের আড়াই হাজার জিপার প্যাকেট। সম্রাটের কক্ষে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল মদ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।
সন্ধ্যায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।