হোয়াইট হাউজে ছয় বছর কাটাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তার বহু রাজনৈতিক উপদেষ্টারা, চিফ অফ স্টাফরা, প্রেস সেক্রেটারিয়েট এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টার এসেছেন এবং চলে গেছেন। এতদিন পর এবার হোয়াইট হাউজকে ‘গুডবাই’ জানাচ্ছেন ওবামার ব্যক্তিগত শেফ।
ওবামার পরিবারের পুষ্টি বিষয়ক যাবতীয় বিষয়ের দেখভাল করতেন স্যাম কাস। তিনি শুধু হোয়াইট হাউজে খাবারের আয়োজনই করতেন তা নয়। ওবামার বাচ্চাদের স্কুলের স্বাস্থ্যকর খাবারও দিয়ে দিতেন।
এ মাসের শেষের দিকে চলে যাচ্ছেন তিনি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ওবামার পছন্দ ও অপছন্দের বিষয়ে। মিষ্টি হেসে তিনি জবাব দেন, এ সবই টপ সিক্রেট।
শিকাগোর স্থানীয় এই শেফ বলেন, ওবামার পরিবারকে সেবা প্রদান ছিলো আমার জীবনের সেরা কাজ। কিন্তু ৩৪ বছর বয়সী এই মানুষটিকে বিদায় নিতে হচ্ছে। কারণ বিয়ে করেছেন তিনি। তার স্ত্রী একাকী সময় কাটান।
এর আগে হোয়াইট হাউজের অন্যান্য শেফের মতো ছিলেন না তিনি। বহু গবেষণা করতেন খাবারের বিষয়ে। ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার বাগান থেকে নিজেই সবজি তুলে আনতেন। এগুলো রান্না করতেন মনের মাধুরী মিশিয়ে।
আমেরিকার স্কুলগুলোর ক্যান্টিনে খাবার সরবরাহ করা হয় স্কুল নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে। কিন্তু তাদের খাবারের বেশিরভাগ ফেলে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ কারণে তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকও দেন মিশেল ওবামা।
কিন্তু কাসের তৈরি খাবার বেশ মুখরোচক এবং পুষ্টিকর। কাজেই তার খাবারের সঙ্গে ক্যান্টিনের খাবার তুলনা করে যদি নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশনের খাবার হেরে যায়, তবে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক। এ কথা বলেন নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা।
তবে এখন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাবারকে আরো পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর করতে ‘লেটস মুভ’ নামে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন হোয়াইট হাউজ শেফ।
বর্তমানে এসব খাবার যে সব স্থান থেকে আসছে তা ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করবেন কাস। এ কথা জানান নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশনের চিফ এক্সিকিউটিভ প্যাট্রিসিয়া মন্টেগ।
তবে কাসের পরিকল্পনায় আপাতত রয়েছে শান্তির ঘুম আর স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর কিছু মুহূর্ত।