রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় আটক ‘নব্য জেএমবির’ সন্দেহভাজন দুই সদস্য– মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আব্দুল্লাহ আজমির ফতুল্লায় বোমা তৈরির কারখানা গড়ে তোলে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। খবর ইউএনবির
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেদী ও আব্দুল্লাহকে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থেকে রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে আটক করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
এ বিষয়ে মনিরুল বলেন, মেহেদী ও আব্দুল্লাহ কুয়েটে পড়ার সময় নিষিদ্ধ ‘নব্য জেএমবি’তে জড়িয়ে পড়েন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তারা ভোলা থেকে প্রশিক্ষণ নেন। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে সশস্ত্র ইউনিটে যোগ দেয়। তারা ফতুল্লায় রফিকের বাড়িতে একটা বোমা তৈরির কারখানা গড়ে তোলে।
তিনি জানান, মেহেদী ও আব্দুল্লাহ গুলিস্তান এবং সায়েন্সল্যাবে হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া মালিবাগ, পল্টন ও খামারবাড়িতে হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরিতে রফিককে তারা সাহায্য করে বলেও স্বীকার করেছে।
গত ৩১ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবরেটরি ক্রসিংয়ে বোমা বিস্ফোরণে পুলিশের দু্ই সদস্য আহত হন। অন্যদিকে ২৯ এপ্রিল এবং ২৬ মে যথাক্রমে মালিবাগ ও গুলিস্তানে পৃথক বোমা বিস্ফোরণে তিনজন ট্রাফিক পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।