কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালীগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে কামড়িয়ে শ্লীলতাহানির পর ধর্ষণের চেষ্টা করার হয়েছে বলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে জামালপুর ইউনিয়নের জামালপুর গুদারাঘাট নতুন বাজার এলাকায় সমর পালের মিষ্টি দোকানে। অভিযুক্ত সমর পালের শ্যালক সঞ্জয় পালকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি। সমর পাল স্থানীয় প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বিচার করার কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে এবং ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। পরে ভিকটিমের পরিবার স্থানীয় মেম্বারের শরণাপন্ন হলে মেম্বার বিষয়টি থানাকে অবগত করে রাত সাড়ে আটটায় ভিকটিমসহ তার পরিবারকে থানায় পাঠানো হয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে গতকাল শনিবার সকালে নির্যাতিতার বাবা গিয়াসউদ্দিন ফকির অভিযুক্ত সঞ্জয় পালকে আসামি করে রাতেই কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্যাতিতার পরিবার ২৮ বছর যাবত জামালপুর গ্রামের জাপানির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। তার পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার হোমনা থানার গলিয়ারচর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী (১০) জামালপুর গুদারাঘাট নতুন বাজার থেকে শুক্রবার সকালে ৫শত টাকার নোট ভাঙ্গিয়ে বাড়ি ফেরার সময় সমর পালের মিষ্টির দোকানের কাছে আসলে সঞ্জয় পাল ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে সঞ্জয় পাল ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে কামড়াতে থাকে। তার ডাকচিৎকারের বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে সঞ্জয় দোকান থেকে বের হয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থী ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানালে, তারা বিষয়টি সঞ্জয়ের দুলাভাই সমর পালকে জানায়। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সমর পাল স্থানীয় প্রভাবশালীকে নিয়ে এ ঘটনার বিচার হবে বলে ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ঘটনার কোনোধরনের সুরাহ করতে না পেরে নির্যাতিতার পরিবার স্থানীয় মেম্বার নাজমুল ইসলামের শরণাপন্ন হন।
নির্যাতিতার বাবা গিয়াসউদ্দিন ফকির বলেন, তার শিশু সন্তানকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় মেম্বার মো. নাজমুল হোসেন শেখ বলেন, শ্লীলতাহানির ঘটনাটি জানার পর বিষয়টি থানার ওসিকে অবগত করা হয়।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়নি। মেয়েটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কামুড়ের দাগ রয়েছে। অভিযুক্তকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছে।