ভারতের উত্তর-পূর্বাঞলের রাজ্য আসামে বড়ো জঙ্গি সংগঠনের নারকীয় হামলায় দগ্ধ ও গুলিবিদ্ধ আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।
মঙ্গলবার বড়ো জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড (এনডিএফবি-এস) এর জঙ্গিদের নারকীয় গণহত্যায় আহতদের মধ্যে শনিবারও দুই আদিবাসী গ্রামবাসী মারা গেছেন।
শনিবার কোকরাঝাড় জেলার গোসাঁইগাঁওয়েও জঙ্গলে মিলেছে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ। এই নিয়ে আসামে এই গণহত্যা-কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৬।
এদিকে এনডিএফবি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের তদারকি করতে শনিবার সকালে আসামে গেছেন ভারতের সেনা প্রধান দলবীর সিং সুহাগ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জেনারেল সুহাগ।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে সেনা প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘আসামে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।’’ এনডিএফবি জঙ্গি নিধনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সেনা অভিযান।
শুক্রবার আসাম সফরে গিয়ে আসাম সরকারকে সবরকম সহায়তা দেওয়ার কথা বলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জঙ্গি সন্ত্রাসকে বরদাস্ত না করার (জিরো টলারেন্স) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এরপরই শুরু হয় এনডিএফবি জঙ্গি-দমনে সেনা অভিযান৷
এদিকে বড়ো জঙ্গিদের নৃশংস সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, ত্রাণ, পুনর্বাসনে আসাম সরকারের শিথিল তৎপরতার সমালোচনায় শুক্রবার বিভিন্ন গণসংগঠনের ডাকে আসামে পালিত হয় ১২ ঘণ্টার হরতাল। এই হরতাল ডেকেছিল বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন। তাদের মধ্যে বিজেপি-র গণসংগঠনও ছিল।