কুষ্টিয়া: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজের অভিযোগ পুলিশ তাকে মারধর করেছে। তা ছাড়া তার এক ভাবিকেও লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অবশ্য পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানকার অনেকের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কাউকে মারধর করেনি।
আজ বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে যান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তবে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
বুয়েট উপাচার্য আবরার ফাহাদের এলাকায় গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশি পাহারায় উপাচার্য ফাহাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সেখানে ধাক্কাধাক্কি ও জটলার সৃষ্টি হয়। এ সময় আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজও সেখানে ছিলেন। ফাইয়াজ বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান কনুই দিয়ে আমার বুকে আঘাত করেন। আমার এক ভাবিকেও তারা লাঞ্ছিত করেছে। আমার ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে এখন আমাকেও মারতে চাইছে।’
তবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ফাইয়াজ উপাচার্যকে মারতে উদ্যত হলে তিনি তা নিরসন করেন। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকজন উপাচার্যের দিকে তেড়ে আসেন। তাঁর দাবি, কারও গায়ে তিনি হাত তোলেননি। সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
আবরারের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী তমা খাতুনকে পুলিশ লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপাচার্য জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে চলে যান। কিন্তু তার পেছনে ছিল পুলিশ সুপারের (এসপি) গাড়ি। বিক্ষোভকারীরা মনে করেছিলেন উপাচার্য পুলিশ সুপারের গাড়িতে রয়েছেন। তখন তমা খাতুন পুলিশ সুপারের গাড়ির রাস্তা আটকে দাঁড়ান। এ সময় এক পুলিশ সদস্য তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশ সদস্যকে তমা খাতুন ধাক্কা দিলে আরেক নারী পুলিশ সদস্য তমা খাতুনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।