কুষ্টিয়া: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)’র মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সাথে দেখা না করেই চলে গেলেন ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। অথচ বুধবার আবরারের পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যই কুষ্টিয়ায় গিয়ে ছিলেন তিনি।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও এসপিকে সাথে নিয়ে নিহত আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছান বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। সেখানে আবরারের কবর জিয়ারত করেন তারা। ওখান থেকে আবরারদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিলো তাদের।
প্রতিনিধি জানান, আবরার হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার দুপুর থেকেই নিহতের বাড়ির সামনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ছিলো। কিন্তু আবরারের বাড়ির সামনে এতো লোকজন দেখে ভয়ে বুয়েটের ভিসি বাড়িতে না গিয়েই ফিরে আসেন। এসময় আবরারের একভাবী তাদেরকে বাড়িতে গিয়ে নিহতের বাবা-মার সাথে দেখা করার অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেননি।
গত রোববার রাত আটটায় বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা হলের প্রাধ্যক্ষ জানেন রাত পৌনে তিনটায়। কিন্তু এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে ভিসি সেখানে যাননি পরপর প্রায় দুই দিন। এনিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে ৪০ ঘন্টা পর সামনে এতে তোপের মুখে পড়েন ভিসি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীয় রায়ডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে আবরারের দাফন হয় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় সম্পন্ন হয়েছে। তার আগেরদিন সোমবার রাত ১০টার দিকে বুয়েট প্রাঙ্গণে আবরারের প্রথম জানাজা হয়। দুটোর কোনোটিতেই উপস্থিত ছিলেন না ভিসি।