লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বিয়ের দু’দিন আগে ধর্ষণ মামলার অভিযোগে ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জামিরবাড়ী এলাকার শামসুল হকের পুত্র লালন মিয়া (২০)কে চর কাঞ্চন এলাকা হতে গ্রেপ্তার কালিগঞ্জ থানা পুলিশ।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২ অক্টোবর সকাল ১০ ঘটিকার সময় আফজাল উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মেরিনা খাতুন (১৩) কে বিদ্যালয় সংলগ্ন পান দোকানদার মধু মিয়ার দোকানের সামনে একা পেয়ে মধু মিয়ার ফাঁকা বসত বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তখন মেয়েটি চিৎকার করিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ।
ঘটনার বিষয়ে মেয়ের মা এ প্রতিবেদককে জানান, আমার মেয়েকে বিয়ের কথা জানায় লালন মিয়া। এতে আমার মেয়ে প্রতিবাদ ও রাজী না হওয়ায় মেয়েকে জোর করে ধর্ষন করে।
জনৈক দোকানদার মধু মিয়া বলেন, আমার দোকানে স্কুলের মেয়েরা আসে না। ধর্ষিত মেয়েকে আমি কোনদিনও দেখি নাই। চিনিও না। আমার বাড়িতে এ ধরনের কোন ঘটনাও ঘটেনি। লালন মিয়া ওই দিন আমার দোকানে পান খেয়ে চলে যায়। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপর দিকে ঘটনার একমাত্র স্বাক্ষী, মেরিনার বান্ধবী মৌসুমি জানান, আমরা দুজন একসঙ্গে ছিলাম, লালন মিয়া ওর সাথে কথা বলার কথা বলে বাড়ির ভিতরে নেয়। মেরিনার বিলম্ব দেখে আমি ভিতরে প্রবেশ করে তাদের খারাপ অবস্থায় দেখি। মুক্তির প্রতিবেদক মৌসুমিকে একই বক্তব্য আদালতে দিবেন কিনা জানতে চাইলে, মৌসুমী আদালতে হাজির হতে রাজী হতে রাজী নয় বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন ঘটনার বিষয়ে বলেন, লালন মিয়া ছেলেটি তার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। ছেলে হিসাবে সে অত্যান্ত ভদ্র স্বভাবের। যে ঘটনাস্থলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওইদিন এখানে কোনরুপ ঘটনা ঘটেনি। আমরা অনেকেই এই দোকানে সারাদিন বসে সময় অতিবাহিত করি। ঘটনাটি সম্পুর্নরুপে সাজানো ও বানোয়াট। ছেলেটির অন্যত্র বিয়ে রেজিষ্ট্রি হয়েছে দু দিন পরে অনুষ্ঠান এরমধ্যেই এ সাজানো ঘটনা।
লালন মিয়ার পরিবারে দাবি, ধর্ষণের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো মামলা। আমার ছেলে লাল মিয়ার অন্যত্র বিয়ে হয়েছে দুদিন পরে অনুষ্ঠান । এমন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
মুলত তারা আমার ছেলেকে তাদের মেয়ের সহিত বিয়ে দিতে ইচ্ছুক ছিল। মেয়েটি নাবালিকা ও ছেলের অমত থাকায় বিয়ে সম্ভব হয়নি। লালন মিয়ার বিয়ে রেজিষ্ট্রির খবর শুনে তারা একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী মেয়ের টিএনএ টেষ্ট করলেই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
স্থানীয় ভোটমারী ইউপি চেয়ারম্যান আহাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ঘটনা কতটুকু সত্য মিথ্যা তা আমি সঠিক জানিনা। তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি।
মামলার আইও এসআই মহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাহার মামলা নং ০৫