ঢাকা: চলমান সংকটে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে রাজি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদে। তিনি বলেন, আমরা সরকারের লোক হিসেবে আপনাদের (সাংবাদিকদের) নিরঙ্কুশ আওয়ামী লীগার হিসেবে চাই না। আমাদের যা পাওনা, আমাদের যে উন্নয়ন সেটি মিডিয়া কাভারেজ দিচ্ছে, আমরা আরো ওয়াইডভাবে কাভারেজ চাই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত নিউজ ব্রডকাস্টারস এসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (এনবিএ)-এর ২০১৯-২০২১ কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও সাংবাদিক নেতারা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি জানি মিডিয়া কর্মীদের অনেক সমস্যা আছে। অনেকে কাজ করেন বেতন পান না। এসব বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিডিয়া কর্মীদের কথাগুলো শুনবেন। সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যাগ নিবেন। আমি এটাই পারি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে হয় তাতে আমি সহযোগিতা করতে পারি। আমরা বক্তৃতা করি। বক্তৃতাগুলো কাভার করে যারা তাদের সমস্যাগুলো আমরা বুঝতে পারি।
অভিষেক অনুষ্ঠানে সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে নদীতে ঢেউ নেই, সেটি নদী নয়। যে প্রকৃতিতে দুযোর্গ নেই সেটি প্রকৃতি নয়। আমাদেরকে অন্ধকার পেরিয়ে যেতে হবে। ঢেউকে অতিক্রম করতে হবে। সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সেই সফল মানুষ।
তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে, টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে, অপকর্মের বিরুদ্ধে আর করাপশনের বিরুদ্ধে যে ক্রুসেড শুরু করেছেন, সেটিতে আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা চাই। দেশের মানুষ সমর্থন করছে। আপনারাও যদি সমর্থন করেন আমরা এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবো। আমরা আপন ঘর থেকেই শুরু করেছি। আমি আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি দেয়াল তৈরি করতে চাই না। আমি বীজ তৈরি করি। আমাদের দেশে এখন ওয়াল সু-উঁচুতে উঠে যাচ্ছে। দলে দলে, গোষ্ঠিতে গোষ্ঠিতে, পরিবারে পরিবারে শুধু ওয়াল। আমাদের জাতীয় জীবনের সুর এটাই হওয়া উচিত যে, আমরা ওয়াল তৈরি করবো না, বীজ তৈরি করবো। জাতীয় জীবনে এটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিডিয়া সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরবে। দর্পন হিসেবে কাজ করবে, একই সাথে আমি মনে করি গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমাদের যে অর্জনগুলো হয়েছে তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া।
আমাদের সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি প্রধানমন্ত্রী লালন করেন। সমালোচনার পাশাপাশি আমাদের যে উন্নয়নগুলো হয়েছে সেগুলো তুলে ধরতে কাজ করতে হবে।