বেবাক উমেদ মিশে গেছে গাঢ় তিমিরে, অস্তিত্বের তরণীর তলদেশে বেদ করে গাঢ় নোনাজল!
উরের জমিনে বোনা শস্য সিক্ত হয় নোনাজলে, সোনালী ফসল জৌলুস হারায় প্রতিদিন ।
কামার্ত প্রবল পয়স্বিনীর স্রোতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় জীবন পয়স্বিনীর দুকূল !
চৈতন্যের বুকের চলে অবিরল রক্তক্ষরণ।
অপার অর্ণবে দিকভ্রান্ত মাল্লার আর্তি পৌঁছে না কঠিন শিলায়!
অক্ষমের হৃদয়ে অগ্নিপাত চলে চৌর্যে।
বহুরূপী, বহুবিধ, বহুতরফা বিষমাঙ্গ ক্রিয়ায় বাড়ে ক্ষতচিহ্ন।
সমগ্র আলো ম্লান হয় অশুভ কালো থাবায়!
শুভ্র আলোর তাগিদ অনুভূত হয় হৃদয় থেকে হৃদয়ে।
নিরবধি ছুটে চলে জীবন অজ্ঞাত লক্ষ্যে, এখানে মুখবন্ধ থেকে উপসংহার বেবাক মিশাল মেকি!
কাল ভৈরবী প্রিয়তমা ঘাতক রূপে উদ্ভাস হয়! সমাহার বিবর্ণ ধূসর।
সমাজ সংসার জাতিগোষ্ঠীর বিযুক্ত দেওয়ালের উচ্চতা বাড়ে নিত্যদিন, দেওয়ালে জমে শ্যাওলার গালিচা। মৃত্তিকার উরে বাড়ে প্রেমহীন বোধহীন ভালবাসাহীন ভৈরব অনাচার!
হে বন্ধু তন্দ্রা বিভোর থেকো না
ভঙ্গুর অকমল পথভ্রান্ত পথিক কে দেখাও আলোর দিশা।
এসো বোধের বাতায়ন খুলে মুক্তির পুনর্জন্মে নিষ্ঠায় হাতে রাখি হাত, পার্থিব জীবনের বেবাক অসঙ্গতি ক্ষারিত হবে সত্বর।
প্রেমহীন ভালোবাসাহীন বোধহীন মৃত্তিকায় সকল হীনতা দীনতা মুছে পরম অনুরাগে জাগন্ত করি এক মানবিক সজীব বসুন্ধরা।
২আগস্ট ২০১৯
ঢাকা।
#সকল_স্বত্ব_সংরক্ষিত।