ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর ও নান্দাইল উপজেলার বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতের বিভিন্ন সময় পৃথক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার তাদের থানার পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বলছে নির্ভর যোগ্য তথ্যের ভিক্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সকলেই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ছিল।
স্থানীয় সূত্র ও থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ছিল ময়মনসিংহ বিভাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্বনির্ধারিত বিশাল সমাবেশ। ময়মনসিংহ জেলার বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। পূর্ব নির্ধারিত এই সমাবেশে চারটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন সমাবেত হওয়ার জন্য প্রচার দেওয়া হচ্ছিল। এই সমাবেশ উপলক্ষে নাশকতার আশঙ্কায় তিনটি থানার পুলিশ স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাকর্মীদের ধরপাকড়াও করে।
এতে গৌরীপুর থেকে পাঁচজন হলেন শিপন মিয়া, কার্জন মিয়া, শাহজাহান সিরাজ, মেহদী হাসান সাগর ও সুমন মেম্বার। জানা যায়, তারা সকলেই বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
অন্যদিকে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারকৃত চারজন হলেন, উপজেলার তাতী দলের সভাপতি কামাল হোসেন সরকার, সোহাগী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মাইজবাগ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সাবেক মেম্বার আবু ছালিম, রাজিবপুর ইউনিয়ন যুব দলের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ।
এ ছাড় নান্দাইল উপাজেলার বিএনপির সাংগঠনকি সম্পাদক এনামুল কাদিরকেও আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় চন্ডীপাশা এলাকার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনটি উপজেলার বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে পণ্ড করতেই নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ।