গাজীপুর: চলমান দূর্নীতি বিরোধী অভিযানের সঠিক লক্ষ্যবস্তু ও স্থল নিরুপনের জন্য তালিকা তৈরীর কাজ শুরু করেছে সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা। দ্রুত এই তালিকা তৈরীর কাজে নেমে গেছে একদল মাঠ কর্মকর্তা। আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যে সকল নেতা-কর্মী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন দূর্নীতিরমাধ্যমে তাদের চিহিৃত করতে ও যে সকল স্থাপনা ক্যাসিও ও ক্যাসিওর আদলে অপরাধ করছে সেগুলোও চিহিৃত করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ কর্মকর্তাদের দৌঁড়ঝাপ লক্ষ্য করা গেছে তালিকা তৈরীর কাজে। তবে তালিকা তৈরীর কাজটি রুটিন ওয়ার্ক বললেও তালিকার ধরণ বলছে চলমান দূর্নীতি বিরোধী অভিযানের মাঠ পর্যায়ে র্যাকী করার কাজ চলছে। ২/১ দিনের মধ্যেই এই তালিকা শেষ হবে বলে ওই সূত্র জানালেও আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করছেন তারা।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গাজীপুর জেলার একাধিক এমপি ও মন্ত্রী পরিষদ সদস্যের এপিএসদের নজরে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের নিকটাত্মীয়দের বিষয়েও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের অবৈধ কর্মকান্ডের তথ্য প্রমান খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে অপরাধের প্রমান পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করা হবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ঝুট ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুর মত স্পর্শকাতর অপরাধগুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রে দাবী।
সূত্র বলছে, সরকারী দলের অভ্যন্তরনী কোন্দলের জের ধরে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় সৃষ্ট দূর্নীতি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে চরমভাবে। তালিকায় এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে চিহিৃত করা হচ্ছে অপরাধী নেতা-কর্মীদের। এই তালিকায় বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের নামও আসছে বলে জানিয়েছে বিশ্বস্থ সূত্র।