পাকিস্তানের ইসলামাবাদের আলোচিত লাল মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত। সুশীল সমাজের কয়েকজন সদস্যের করা এক মামলার শুনানিতে এই আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ দেওয়ানি বিচারক সাকিব জওয়াদ ।
পেশোয়ারে আর্মি পরিচালিত এক স্কুলে তালেবান হামলায় ১৩৩ শিশুসহ ১৪৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানান আবদুল আজিজ। এর প্রতিবাদে গত সপ্তাহে দেশটির সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা লাল মসজিদের বাইরে জড়ো হন ও বিক্ষোভ করেন।
এরপর সুশীল সমাজের সদস্যরা আবপাড়া পুলিশ স্টেশনে পাকিস্তান পেনাল কোডের ৫০৬(২) ধারায় এফআইআর দায়ের করেন। পরে এটি মামলায় রূপান্তরিত হয়।
শুক্রবার আদালতে শুনানিকালে ঘটনার তদন্তে আবদুল আজিজকে গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক।
গ্রেফাতারি পরোয়ানা জারির ব্যাপারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লাল মসজিদের মুখপাত্র হাফিজ এহতেশাম বলেন, ‘মওলানা আবদুল আজিজ গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধ করবেন। এখানে অনেক রাজনৈতিক নেতা বিরুদ্ধে এ রকম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আদতে এতে কিছুই হয় না। তার পরও তাকে গ্রেফতার করতে এলে যেকোনো উপায়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।’
সুশীল সমাজের একজন কর্মী আহমাদ আলি ডনকে বলেন, মাওলানা আবদুল আজিজ পেশোয়ারের ঘটনায় নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি ওই ঘটনায় নিহত শিশুদের ‘শহীদ’ বলতেও অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে আবপাড়া পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা আবদুল রেহমান বলেন, বিক্ষোভকারীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও রাস্তা দখল করে মসজিদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহার করছিলেন। মসজিদের প্রশাসনের অনুরোধে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। দুই দিন ধরে চলা বিক্ষোভের পর মসজিদের খতিবের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করেন বিক্ষোভকারীরা।
চলতি বছরের প্রথম দিকে পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানের পক্ষে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন মওলানা আজিজ।