বিপুল অর্থ, এফডিআর, নথি ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার জি কে শামীম দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন। ক্যাসিনো ডন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গ্রেপ্তারের পর দিনই ঘনিষ্টজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশ ছাড়ার সহযোগিতা চান শামীম। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, বিদেশ পাড়ি দিতে শামীম বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেন। কিন্তু আগে থেকেই তথ্য থাকায় তার ওপর নজরদারি ছিল র্যাবের। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন তা নজরে রাখছিল র্যাবের গোয়েন্দা টিম। র্যাব সূত্র জানায় বিদেশ যাওয়ার সুযোগ খুজতে শুক্রবারও তার কার্যালয় খোলা রেখেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে ওই দিনই অভিযান চালানো হয়। র্যাব সূত্র জানায় শামীম যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য বিমানবন্দরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ বার্তা দেয়া ছিল। শামীম ছাড়াও তালিকায় থাকা আরও বেশ কয়েকজন নেতার নামও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দেয়া হয়েছে। তাদের দেশত্যাগের বিষয়েও নজরদারি রয়েছে।
এর আগে গ্রেপ্তার ক্যাসিনো ডন খালেদ মাহমুদও সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি। শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার কার্যালয় থেকে বিপুল অর্থ, এফডিআর নথি, মাদক এবং অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ঢাকায় সরকারি কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন শামীম। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য বের হয়ে আসছে। এর আগে বুধবার মতিঝিলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। এর নিয়ন্ত্রণকারী যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ক্লাব থেকে বিপুল ক্যাসিনো সামগ্রি, নগদ অর্থ ও মাদক উদ্ধার করা হয়। এটিসহ অন্তত ১৭ টি ক্যাসিনো ক্লাবের সঙ্গে খালেদ জড়িত। এসব ক্লাব থেকে মাসে কোটি টাকা আয় করতেন তিনি। এছাড়া চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নানা অভিযোগ রয়েছে খালেদের বিরুদ্ধে। খালেদের বিরুদ্ধে অভিযানের পর থেকে মূলত আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী, চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তাদের কেউ কেউ দেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কেউ ইতোমধ্যে দেশ ছেড়েছে।