ডেস্ক: আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর উপায় কাল দেখিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সে ফর্মুলা যে বাংলাদেশের এত পছন্দ হবে, সেটা কে জানত? গতকালকের প্রায় অবিকল অনুকরণেই এগোল আজকের আফগান ইনিংস। দারুণ শুরু পেয়েও ইনিংসের মাঝপথে পথ হারিয়ে ধুঁকেছে মোহাম্মদ নবীরা। বোলারদের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে আফগানিস্তানকে ১৩৮ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।
গতকাল ফিল্ডারদের বদান্যতায় ইনিংসের শুরুতেই জীবন পেয়েছিলেন আফগান ওপেনাররা। সে সুবিধা কাজে লাগিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৩ রান তুলেছিল তারা। কিন্তু মাঝে ৪১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ১৫৫ রান তুলেছিল তারা। আজও দলীয় ৭ রানে জীবন পেয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। মাহমুদউল্লাহর দেওয়া এ উপহার কাজে লাগিয়ে ৯ ওভারে ৭৫ রান তুলে ফেলেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু ৩৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পড়ে অলআউট হওয়ার শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিল দলটি।
ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। একের পর এক দুর্দান্ত আউট সুইং ছেড়েছেন প্রথম ওভারে। পরের ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন শফিউলও। পঞ্চম বলটি ছিল বাউন্সার। তাতে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এরপরই রানের গতি বাড়িয়েছে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহর এক ওভারে ১৬ রান তুলেছেন হজরুতউল্লাহ জাজাই।
মোস্তাফিজের প্রথম ওভারেও ১৪ রান তুলে নিয়েছিল আফগানিস্তান। মোসাদ্দেক হোসেনও নিজের প্রথম ওভারে ১০ রান দেওয়ার পর আফিফ হোসেনের হাতে বল তুলে দেন সাকিব আল হাসান। দশম ওভারে বল করতে এসে তৃতীয় বলেই অধিনায়কের আস্থার জবাব দিয়েছেন আফিফ। তাঁকে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দিয়েছেন জাজাই (৪৭)। এক বল পরেই সে পথে হেঁটেছেন আসগর আফগান। ৭৫ রানে দুই উইকেট হারানো আফগানিস্তান সেই যে পথ হারিয়েছে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
৫ রান পরেই মোস্তাফিজকে তুলে মারতে গিয়ে ফিরেছেন রহমানউল্লাহ (২৯)। দারুণ ফর্মে থাকা মোহাম্মদ নবীকে আউট করার দায়িত্ব অধিনায়ক সাকিবই বুঝে নিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পড়ই মাহমুদউল্লাহর ডাইভিং থ্রোতে রান আউট গুলবদীন নাইব। ২৪ বল ও ২১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান।
এর পর দুই ওভার একটু বিরতি ছিল। ১৬ ও ১৭তম ওভারে নজীবুল্লাহ জাদরান ও করিম জানাতকে ফিরিয়ে দিয়ে আফগানিস্তানের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছেন সাইফউদ্দিন ও শফিউল। ১১৪ রানে সপ্তম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। অস্টম উইকেটে ২৪ রান যোগ করেছেন রশিদ ও শফিকউল্লাহ।