ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে একদিনের যাত্রাবিরতির পর ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় (স্থানীয় সময়) ইতিহাদ এয়ার ওয়েজের একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্কের পথে যাত্রা করবেন তিনি।
ওইদিন প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) নিউইয়র্কে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। জানা গেছে, বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ হলে ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘রিকগনাইজিং পলিটিক্যাল লিডারশিপ ফর ইম্যুনাইজেশন ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কেনেডি রুমে ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। জাতিসংঘ সদরদফতর (ইউএনএইচকিউ) বুথে জাতিসংঘ মহাসচিবের স্পেশাল অ্যাডভোকেট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট কুইন মেক্সিমার সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া তিনি ইউএনএইচকি এ কনফারেন্স রুম ১১ তে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও ওআইসি সচিবালয় আয়োজিত মিয়ানামারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের অবস্থার ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও যোগ দিবেন।
শেখ হাসিনা ইউএনএইচকিউ-এর ইসিওএসওসি চেম্বারে ‘লিডারশিপ ম্যাটার্স-রিলেভ্যান্স অব মহাত্মা গান্ধী ইন দ্য কন্টেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং পরে লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
২৫ সেপ্টেম্বর ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি সম্মেলন) ওপর উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে ‘লোকালাইজিং দ্য এসডিজিস’ এ প্রধানমন্ত্রী কো-মডারেটরের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস এ ‘এ কনভারসেশন উইথ অনারেবল প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষ একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন।
ওই দিন লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে বাইলেটারেল মিটিং রুমে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানির সভাপতি কেভিন রাডের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
২৬ সেপ্টেম্বর লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের বাইটারেল মিটিং রুমে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ইক্সোনমোবাইল এলএনজি মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ইনক এর চেয়ারম্যান এলেক্স ভি. ভলকোভ, ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো- চেয়ার বিল গেটস এবং আইসিসি প্রোসিকিউটর ফাতোউ বেনসোউদার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও তিনি ইউনিসেফ হাউসের লাবৌউইসে হলে ইউনিসেফ আয়োজিত ‘এক ইভেনিং উইথ প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর, ইউএনএইচকিউ এর কনফারেন্স রুম ১ এ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘সাইটেইনেবেল ইউনিভার্সেল হেল্থ কভারেজ: কমপ্রেভেনসিভ প্রাইমারি কেয়ার ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড ডিজেবিলিটিজ’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী একই দিন জাতিসংঘ সাধারণ সম্মেলনের ৭৪তম বার্ষিক সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতা দেবেন।
২৮ সেপ্টেম্বর, শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে প্রেস ব্রিফিং করবেন এবং এছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের হোটেল ম্যারিয়ট মারকুইসে বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। জাতিসংঘ সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অব আমেরিকা, ওয়াশিংটন পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ আন্তর্জাতিক সুপরিচিত গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেবেন।
২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৯টায় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন। তিনি আবুধাবি হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন।