ডেস্ক | বিলাসী জীবন ছিল জি কে শামীমের। ছোটখাট মানুষ। তার চারপাশে থাকত ছয় দেহরক্ষী। তাদের হাতে শটগান। গায়ে থাকত বিশেষ পোষাক। দূর থেকেই দেখলেই মনে হত বিশেষ কেউ। ঠিকাদারী ছিল তার পেশা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, একসময় যুবদলে ছিলেন। পরে জার্সি বদলে আসেন যুবলীগে। হন সমবায় বিষয়ক সম্পাদক। জি কে শামীমের পুরো নাম এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম।
জি কে শামীম নামেই বাসাবো এলাকায় তার ঠিকাদারী চলতো। বাসাবো এলাকায় রয়েছে ৫টি বাড়ি আর একাধিক প্লট। বর্তমানে থাকতেন ডিওএইচএসের ফ্ল্যাটে। অফিস নিকেতনের আবাসিক এলাকাতে। বাসাবো ছাড়াও ডেমরা ও দক্ষিণগাঁও ছাড়াও সোনারগাঁ উপজেলা, বান্দরবান ও গাজীপুরে রয়েছে কয়েক শ বিঘা জমি।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শামীম। বাবা আফসার উদ্দিন ছিলেন স্কুল মাস্টার। মাস্টারের ছেলে বলে একসময় তার পরিচিত ছিল। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো। বড় ছেলে গোলাম হাবিব নাসিম ঢাকায় জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেন। সন্মানদী ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, প্রাইমারি স্কুল ও হাই স্কুল পাস করার পর তাঁদের গ্রামে দেখা যায়নি। ঢাকার বাসাবো আর সবুজবাগ এলাকায় বড় হয়েছেন। গত জাতীয় নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রচারণাও চালিয়েছিলেন শামীম। ক্ষমতার পালাবদলে শামীমও বদলে গিয়ে এখন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা। পাশাপাশি তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগেরও সহসভাপতি।