যুবলীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্যাসিনো সম্রাজ্যে অভিযানের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। বুধবার বিকালে এক অনুষ্ঠানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি বলছেন ৬০টি ক্যাসিনো আছে, আপনারা ৬০ জনে কি এত দিন আঙুল চুষছিলেন? তাহলে যে ৬০ জায়গায় এই ক্যাসিনো, সেই ৬০ জায়গার থানাকে অ্যারেস্ট করা হোক। সেই ৬০ থানার যে র্যাব ছিল, তাদের অ্যারেস্ট করা হোক।’ আমাকে এ্যারেস্ট করবেন। করেন। আমি রাজনীতি করি। আপনি এরেস্ট করবেন, আমি বসে থাকবো না। আপনাকেও এরেস্ট হতে হবে। কারণ আপনি প্রশ্রয় দিয়েছেন।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘অপরাধ করলে শাস্তির ব্যবস্থা হবে। প্রশ্ন হলো, এখন কেন অ্যারেস্ট হবে। অতীতে হলো না কেন, আপনি তো সবই জানতেন। আপনি কি জানতেন না? নাকি সহায়তা দিয়েছিলেন। সে প্রশ্নগুলো আমরা এখন তুলব। আমি অপরাধী, আপনি কী করেছিলেন? আপনি কে, আমাকে আঙুল তুলছেন?’ আপনি এতোদিন প্রশ্রয় দিয়েছিলেন কেন, সেটার আমার জানতে হবে। আমি রাজনীতি করি। আমার রাজনীতির সঙ্গে ব্যবস্থাপনা থাকবে। আমি সঠিক তা বলছি না। আমার ভুল ত্রুটি অবশ্যই আছে। ভুলত্রুটি চিহ্নিত হচ্ছে এটি আমার জন্য সুখবর। যে কাজ বেশি করবে তার ভুল ত্রুটি হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন হঠাৎ করে কেন জেগে উঠলেন? কারণটা কী? এটা কি বিরাজনীতিকরণের দিকে আসছেন? দলকে পঙ্গু করার কোনো ষড়যন্ত্রে আসছেন? নিষ্ক্রিয় করার ষড়যন্ত্রে আসছেন?
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওমর ফারুক চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘পাঁচশ জায়গা নির্ধারণ করলেন ক্যাসিনো চলে, যুবলীগ চালায়। আপনি সাংবাদিক, আপনাকে বলতে হবে, সেই ক্যাসিনোগুলো কোথায়? কারা কারা জড়িত?’ গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গোয়েন্দারা এতই যদি তৎপর হয়, তাহলে এতদিন কী করেছিলেন? পত্রপত্রিকা যদি এতই তথ্য জানেন; তাহলে এতদিন তথ্যগুলো তুলে আনেননি কেন? আমি কেন জানলাম না? আমরা কেন জানলাম না? আপনি অতীতে জানতেন। লুকিয়ে রেখেছিলেন। কেন?