ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ক্যাসিনোর নেপথ্যে যত প্রভাবশালীই থাকুন না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে পুলিশ। রাজধানী ঢাকায় জুয়ার বোর্ড ও ক্যাসিনোর তালিকা করা শুরু হয়েছে। র্যাবের মতো পুলিশও অভিযান চালাবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানী ঢাকায় অবৈধ জুয়ার আড্ডা বা কোনো ধরনের ক্যাসিনো পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসবের নেপথ্যে যত প্রভাবশালীরাই জড়িত থাকুক না কেন, আইনপ্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে। র্যাব অভিযান শুরু করেছে পুলিশও অভিযান শুরু করবে। আমি এ সপ্তাহেই কমিশনার হিসেবে কাজ শুরু করেছি। যাঁরা এই বিষয় দেখেন তাঁদের নির্দেশ দিয়েছি—কোথায় কী হচ্ছে, কারা পরিচালনা করছে, তার তালিকা করে জানাতে বলেছি। তাঁরা কাজ করছেন।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে একটি জোনের তালিকা আমি পেয়েছি। অন্য জোনের তালিকাও করা হচ্ছে। র্যাব যেমন অভিযান শুরু করেছে, তেমনই পুলিশের ভূমিকাও একইরকম। স্পষ্ট করে বলছি, রাজধানীর কোথাও জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো চলতে দেওয়া হবে না।’
ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে জব্দ করা হয় মদের বোতল। ফকিরাপুল, ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: হাসান রাজা
ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে জব্দ করা হয় মদের বোতল। ফকিরাপুল, ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: হাসান রাজা
আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি কেন জানতে চাইলে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আইনপ্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর। সেটা যে পর্যায়েই হোক না কেন। জোনাল ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি এ ধরনের ঘটনা মোটেও সহ্য করব না। এরপরেও যদি কেউ জুয়ার বোর্ড কিংবা ক্যাসিনো পরিচালনা করে, বা জড়িত থাকে বলে জানতে পারি, তাহলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ক্যাসিনোতে মাদকসেবন হয় জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ক্যাসিনোতে যারা জুয়া খেলতে আসেন তারাই মাদকসেবন করছেন। ক্যাসিনো যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেখানে মাদকসেবনও বন্ধ হবে। ক্যাসিনো বন্ধ করেও যদি কেউ মাদকের কারবার চালানোর চেষ্টা করে, তবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্মল বিনোদন হলে পুলিশ সহযোগিতা করবে। কিন্তু সেখানে বিনোদনের নামে যদি অশালীন ও অবৈধ কিছু চলে। মাদকসেবন হয় তাহলে সেখানেও একই রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।