নীলফামারী: নীলফামারীতে তিন বছরের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন মা টুলটুলি বেগম (২৩)। আজ সোমবার সকালে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের দারোয়ানী রেলস্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত টুলটুলি বেগম ধনীপাড়া গ্রামের তারেক হোসেনের স্ত্রী। ৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দেন মা। এ ঘটনায় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
টুলটুলি বেগমের বড় ভাই দুলাল হোসেন (৩০) অভিযোগ করেন, ‘তারেক মাদকাসক্ত। প্রায় সময়ই তিনি আমার বোনের ওপর নির্যাতন করতেন। গতকাল রোববার রাতে আমার বোনের একটি কানের দুল তারেক বিক্রি করের। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তিনি আমার বোনকে মারধর করেন। রাগে-দুঃখে ভাগনিকে নিয়ে আমার বোন আত্মহত্যা করেছেন।’
নিহত টুলটুলি বেগমের শ্বশুর হামিদুল ইসলাম (৬৫) বলেন, রাতে তাঁর ছেলের সঙ্গে ছেলের বউয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। আজ সকালে বউমা তাঁর বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে তাদের মৃত্যুর খবর পাই। তবে তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলে মাদকাসক্ত নন।
সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে টুলটুলি বেগম ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান।
সৈয়দপুর জিআরপি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরেজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’