ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন লাগামহীন চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। চাঁদাবাজির অভিযোগে যখন ছাত্রলীগের পদ ছাড়তে হয়েছে তাকে ও এ সংক্রান্ত অডিও যখন ফাঁস হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ফেসবুকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন গোলাম রাব্বানী। স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়ে তার স্নেহের আঁচলে ঠাঁই চেয়েছেন তিনি। আজ সকাল ৯.৪৭ মিনিটে দেওয়া এই স্ট্যাটাসে ১৫ হাজার মানুষ লাইক দিয়েছেন, কমেন্ট করেছেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গোলাম রাব্বানী সম্পর্কে অনেকে নানা মন্তব্য করেছেন। সবমিলিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মন্তব্যকারীরা।
গোলাম রাব্বানী তার টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘মমতাময়ী নেত্রী, আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি, আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী। প্রিয় অগ্রজ ও অনুজ, আপনাদের প্রত্যাশাপ্রাপ্তির পুরো মেলবন্ধন ঘটাতে পারিনি বলে আপনাদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।
মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমিও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে আবেগ-ভালোবাসার এই প্রাণের সংগঠনের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী ‘গর্হিত কোনো অপরাধ’ করিনি। আনিত অভিযোগের কতটা ষড়যন্ত্রমূলক আর অতিরঞ্জিত, সময় ঠিক বলে দেবে।
প্রাণপ্রিয় আপা, আপনি আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের সুযোগ্য তনায়া, ১৮ কোটি মানুষের আশার বাতিঘর। আপনার দিগন্ত বিস্তৃত স্নেহের আঁচল, এক কোণে যেন ঠাঁই পাই। আপনার ক্ষমা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাকিটা জীবন চলতে চাই।’
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোভন-রাব্বানীর প্রতি চরম ক্ষুব্ধ হন। এ প্রসঙ্গে তিনি এক বৈঠকে বলেছেন, ‘আমি ওদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বানালাম, কিন্তু ওরা পদ পাওয়ার পর ‘মনস্টার’ হয়ে গেল।’ অবশেষে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয় রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে। সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।