হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ভুয়া ব্যাংকার সেজে বিয়ের নামে প্রতারণা ও টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নাজমুল হোসাইন সঞ্জু (৩৩) নামে এক প্রতারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নাজমুল হোসাইন সঞ্জু ৮ মাস আগে ভুয়া ব্যাংক কর্মকর্তা সেজে পাটগ্রাম উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক স্কুল শিক্ষিকাকে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করেন।
নাজমুল হোসাইন সঞ্জু লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দেবীপুর এলাকার হারুনুর রসিদের ছেলে।
এর আগেও একই কৌশলে আরো দুই মেয়েকে বিয়ে করে বিপুল পরিমানে টাকা হাতিয়ে নেয় এই নাজমুল হোসাইন সঞ্জু।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই নাজমুল হোসাইন সঞ্জুর।
সেই পরিচয় থেকে প্রথমে প্রেম তারপর গত ৩ মার্চ দুই জনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাজমুল হোসাইন সঞ্জু নিজেকে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন।
পরে বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে নাজমুল হোসাইন সঞ্জু মেয়ে ও মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
গত ১৬ আগস্ট মেয়ে ও তার পরিবার বুঝতে পারে নাজমুল হোসাইন সঞ্জু একজন প্রতারক।
ব্যাংকার বলে ভুয়া পরিচয় দিয়েছে এবং তার স্ত্রী ও বাচ্চা রয়েছে। গত ১৯ আগস্ট ওই মেয়ে বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় নাজমুল হোসাইন সঞ্জুর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করে।
পরে পাটগ্রাম থানা পুলিশ লক্ষ্মীপুর পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দেবীপুর এলাকার নাজমুল হোসাইন সঞ্জুকে গ্রেফতার করে।
পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, নাজমুল হোসাইন সঞ্জুর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানাও একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে।
বিয়ে করে মেয়ে ও মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া তার কৌশল।
নাজমুল হোসাইন সঞ্জুর এ পর্যন্ত ৩টি বিয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। নাজমুল হোসাইন সঞ্জুকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।