ফেনী: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া এলাকায় গাড়ি উল্টে ফেনীর পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী মো. আজহারুল ইসলাম (৩০) নিহত হয়েছেন। তিনি কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
দুর্ঘটনায় পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী, জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি পদমর্যাদা) মো. মনিরুজ্জামান, গাড় চালক মং সাঁই চাকমা। আহতদের মধ্যে গাড়ি চালক মং সাঁই চাকমার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক সুদীপ রায় জানান, সদর উপজেলার বোগদাদীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ফেনী ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যায়। এ সময় পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, দেহরক্ষী ও গাড়ি চালক গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ফেনী হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদেরকে উদ্ধার করে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে কত্যর্বরত চিকিৎসক পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী মো. আজহারুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত গাড়ি চালক মং সাঁই চাকমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতেই নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে রাতে জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আবদুল মমিন (৫৫) নামের এক পথচারি নিহত হয়েছেন। দাগনভূঞা-বসুরহাট রোডের ডাক বাংলো নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল মোমিন উপজেলা ইয়াকুবপুর গ্রামের মাঈন ভূঞা বাড়ির মফজল মিয়ার ছেলে ও একজন টেম্পু চালক।
স্থানীয়রা জানায়, টেম্পু চালক আবদুল মমিন রাস্তা পারাপারের সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপতাল মর্গে প্রেরণ করে।