মা ও মেয়ে দু’জনকেই ধর্ষণ করেছে খোকন মিয়া। দীর্ঘদিন থেকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণের এক পর্যায়ে চোখ পড়ে মেয়ের দিকে। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অতঃপর রোববার দিবাগত রাতে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার ওমরপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা মা ও মেয়ের বাড়ি খুলনায়। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে খোকন। এরমধ্যেই ওই নারীর কিশোরী কন্যার দিকে নজর পড়ে তার। গত ১০ই আগস্ট খুলনা থেকে কিশোরীকে সিলেটে নিয়ে যায় খোকন। সেখানে জোর করে করে আটকে রেখে তাকেও ধর্ষণ করে। রোববার কৌশলে ফোনে পরিবারকে তার অবস্থান জানায় কিশোরী। খবর পেয়ে সিলেটে পৌঁছে রাতেই ওসমানী নগর থানায় মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর রাত ১টার দিকে পুলিশ খোকনকে গ্রেপ্তার করতে ওমরপুর গ্রামে অভিযান চালায়।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম মামুন জানান সাংবাদিকদের জানান, অপহৃত কিশোরীসহ খোকনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় স্বজনরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালালে খোকনের ডান পায়ে গুলি লাগে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় মামলা করা হয়েছে খোকনের নামে। এ মামলায় রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় খোকনের বাবাকে। আসামি খোকন মিয়া ওসমানীনগর উপজেলার ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা।