খেলা: মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে চড়ে জিম্বাবুয়েকে তিন উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬০ রানে ছয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখানে থেকেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌছেদেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেই হাফ সেঞ্চুরি তুলেনেন আফিফ। ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন ১৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ৫২ রান হ্যামিলন্টন মাসাকাদাজার দূর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন আফিফ। তবে মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।
১৪৫ রানের জবাবে শুরুটা মন্দ ছিল না শুরুটা মন্দ ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু সেই ধারাটা আর থাকলো না। পরপর দুই বলে আউট হয়ে যান লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। পরে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। এ যেন উইকেট হারানোর মিছিল! ১০ বলের মধ্যে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ। টেন্ডাই চাতারার করা তৃতীয় ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। এরপর চতুর্থ ওভারে বল তুলে নেওয়া কাইল জার্ভিসের প্রথম বলেই ফিওে যান সৌম্য সরকার। দুই বল পর ওই জার্ভিসের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যর্থতার মিছিলে সাকিবও নাম লেখালে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মাত্র দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা আফিফ। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন আফিফ। মাত্র ২২ বলে ৮ চার ও এক জয়ে ক্যারিয়াওে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন এই তরুন ক্রিকেটার। জয় থেকে তিন রান দুওে মাসাকাদাজার দারুন এক ক্যাচে পরিনত হন আফিফ। বাকী কাজটুকু সাড়েন সাইফুদ্দিন।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করার মতো স্কোর দাঁড় করিয়েছে। আর এই স্কোরের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রায়ান বার্লের। এই ব্যাটসম্যান ব্যাটিংয়ে তান্ডব চালিয়ে করেছেন ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৩২ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন তিনি ৫৭ রানে। যেখানে সাকিবের ১ ওভার থেকেই নিয়েছেন ৩০ রান। তার সঙ্গে অবদান রেখেছেন টিনোটেন্ডা মুতোম্বজি। এই ব্যাটসম্যান ২৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন হার মানা ২৭ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাইজুল, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিন।