ঢাকা: প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে মানববন্ধন এবং ২৮শে সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তাতেও দাবি না মানলে ১লা অক্টোবর থেকে লাগাতার আন্দোনে যাবেন তারা।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এসময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমানে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে (১২৫০০) টাকা ও সহকারী শিক্ষক ১৪তম গ্রেডে (১০২০০) টাকা পান। ২০০৬ সালে বেতন স্কেল আপগ্রেড এবং ২০১৪ সালে বেতন ও পদমর্যাদা বাড়ানোর ঘোষণায় স্কেলের পার্থক্য দাঁড়ায় তিন ধাপ। ২০১৫ সালের ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে এ ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩শ’ টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেডের নতুন প্রস্তাব পাঠানোর দাবি জানাই।
সংগঠনের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে আছে, শিক্ষকদের মানসম্মত বেতন স্কেল দেয়া হবে। আমাদের এ দাবি যত দিন মেনে নেয়া না হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে। ২৮শে সেপ্টেম্বরের কর্মসূচির পর আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবো। স্কুল তালাবদ্ধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আগামী ১লা অক্টোবর থেকে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি শুরু হবে।