অর্থনৈতিক রিপোর্টার | অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই। আমি আপনাদের বলছি টাকা থাকার একটা বেঞ্চ মার্ক আছে। সেই বেঞ্চ মার্কের উপরে আমাদের এখন ৯২ হাজার কোটি টাকা বেশি রয়েছে। এটা তো লুকোচুরি করার কোনো ব্যাপার না।
বহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জুবিদা খেরুস এ্যালাউয়্যা-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের অর্থের সংকট নাই। এটা একটা নিউজ পেপারে বলছে, এর বিপরীতে এরা কিছু বলবে না। আজকে আবার দেখলাম এরা এডিবি’র পজেটিভ রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে, এটা দেখে আবার অবাক হয়ে গেলাম। তারা পজিটিভলি লিখেছে। আমি বলছি, আমাদের কোনো রকম টাকার অভাব নেই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি আপনারা কোথাও কোনো ব্যাংকে গিয়ে টাকা না পান, যদি এলসি স্যাটেলমেন্ট করতে না পারেন, যদি পেমেন্ট না করতে পারেন তবে আমাকে এসে বলবেন। তাহলে এগুলো আমরা কিভাবে বিশ্বাস করবো।
প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন, সরকার কোথায় টাকা খুঁজছে? সরকার টাকা খুঁজলে কোথা থেকে পাবে? সরকারের টাকা না থাকলে দেয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে। আপনারা কেউ সরকারকে টাকা দেবেন?
অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা তোলার রাস্তাটা কি? সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট বিক্রি করতে হবে, না হলে আমেরিকা যা করে কোয়ান্টিটি বেইজিংয়ের নাম করে টাকা ছাঁপাতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশের বন্ড বাজার ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি তারা ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নেও কাজ করবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে যেখানে আছি, সেখান থেকে আরও উন্নতি করতে অনেক শক্তি ব্যয় করতে হবে। এ জন্য আমাদের ক্যাপাসিটি আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্বব্যাংক এক্ষেত্রে আরো বেশি বেশি করে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে করপোরেট সেক্টরের প্রভিডেন্ড ফান্ডগুলোও নিয়ে আসা হবে। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও একমত পোষণ করেছেন। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতিতে আর্থিক খাতের উপাদান কম। উপাদান কম থাকলে অর্থনীতি ছোট হয়ে যায়। অর্থনীতিকে বেগমান করতে হলে আমাদের অনেক টুলস (উপাদান) দরকার, আর এ কাজগুলোই করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জুবিদা খেরুজ এলাউয়া বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগুচ্ছে তা প্রশংসাযোগ্য। বাংলাদেশের ডেট টু জিডিপিও ভাল। এটা একটি সরকারের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নির্দেশ করে। ভাল ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত দরকার। বিশ্বব্যাংক কিছু টেকনিক্যাল এসিস্টান্স, রেগুরেটারি রিফর্ম এবং পলিসির উন্নয়নে সহায়তা করবে। বন্ড মাকের্ট ও পূঁজিবাজারের উন্নয়নে পুরো কাজটাই সমন্বিতভাবে করা হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার সবসময় পুঁজিবাজারের সঙ্গে রয়েছে। পুঁজিবাজারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের সাপোর্ট দেয়া, সেটা আমরা দিয়েছি। আগামীতে ভালো ভালো সরকারি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে দেয়া হবে।