বিএনপি বা ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গাজীপুর জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলার পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ বলেন, শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুর জেলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার জেলা সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক সভার পর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ”বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লন্ডন থেকে একটি তীর্যক মন্তব্য আসার পরই (ছাত্রলীগের) এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি, যে একটি সুরাহা হয়ে গেলে গাজীপুরবাসী পরিত্রাণ পায়। তা যদি না হয় তখন তো আমাদের আইন অনুযায়ী যে পন্থা রয়েছে সে পন্থায় যেতে হবে। জনজীবনে বিঘ্ন ঘটে এরকম কোনো কিছু আমরা অ্যালাও করব না।”
পাল্টাপাল্টি সমাবেশের এ রকম ঘোষণায় উত্তেজনা থাকলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণত ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা, সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়। গাজীপুরেও যে তেমন ঘোষণা আসতে পারে, সে গুঞ্জন বৃহস্পতিবার থেকেই ছিল।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার ঘণ্টাখানেক আগেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গাজীপুরে জনসভার অনুমতির সব প্রক্রিয়া তারা পালন করেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনও তাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ”আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কাল জনসভা হবেই। অবশ্যই আমরা কাল গাজীপুর যাবো। এখন বিরোধী দলের জনসভা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারেরই।”
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জেলা সফরের অংশ হিসেবে বেশ কিছু দিন আগেই গাজীপুরে জনসভার কথা জানিয়েছিল বিএনপি।
এরপর তারেক রহমানের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার মা খালেদার জনসভা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বদরে আলম কলেজ মাঠে একই দিন সমাবেশের কর্মসূচি দেয় ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার রাতে কলেজ মাঠে এলাকায় বিএনপির লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মাঠ দখলে নিয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে। মাঠের ভেতরে শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজ মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় পাঁচ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা জানান।
এর আগে শুক্রবার জেলা সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক সভার পর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ”বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লন্ডন থেকে একটি তীর্যক মন্তব্য আসার পরই (ছাত্রলীগের) এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি, যে একটি সুরাহা হয়ে গেলে গাজীপুরবাসী পরিত্রাণ পায়। তা যদি না হয় তখন তো আমাদের আইন অনুযায়ী যে পন্থা রয়েছে সে পন্থায় যেতে হবে। জনজীবনে বিঘ্ন ঘটে এরকম কোনো কিছু আমরা অ্যালাও করব না।”
পাল্টাপাল্টি সমাবেশের এ রকম ঘোষণায় উত্তেজনা থাকলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণত ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা, সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়। গাজীপুরেও যে তেমন ঘোষণা আসতে পারে, সে গুঞ্জন বৃহস্পতিবার থেকেই ছিল।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার ঘণ্টাখানেক আগেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, গাজীপুরে জনসভার অনুমতির সব প্রক্রিয়া তারা পালন করেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনও তাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ”আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কাল জনসভা হবেই। অবশ্যই আমরা কাল গাজীপুর যাবো। এখন বিরোধী দলের জনসভা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারেরই।”
বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জেলা সফরের অংশ হিসেবে বেশ কিছু দিন আগেই গাজীপুরে জনসভার কথা জানিয়েছিল বিএনপি।
এরপর তারেক রহমানের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার মা খালেদার জনসভা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বদরে আলম কলেজ মাঠে একই দিন সমাবেশের কর্মসূচি দেয় ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার রাতে কলেজ মাঠে এলাকায় বিএনপির লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মাঠ দখলে নিয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে। মাঠের ভেতরে শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশের ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজ মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় পাঁচ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা জানান।