ডেস্ক: দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের প্রথম ১০০ দিনে ধস নেমেছে ভারতের শেয়ারবাজারে। বলা হচ্ছে, এই ১০০ দিনে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১২ লাখ কোটি রুপির সম্পদ ‘উধাও’ হয়ে গেছে। গত ৩০ মে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটিতে সরকার গঠন করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদি সরকারের প্রথম ১০০ দিনে ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। পয়েন্ট কমেছে ২৩৫৭। গত ৩০ মে থেকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এসএসই) সূচক কমেছে প্রায় ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। পয়েন্টের হিসাবে যা দাঁড়ায় ৮৫৮।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতে লগ্নিতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। এর ফলে করপোরেট সংস্থাগুলোর অবস্থাও খারাপের দিকে যাচ্ছে। কারণ এমন অবস্থার কারণে সংস্থাগুলোর আয়ের পরিমাণ কমেছে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেডের (এনএসডিএল) তথ্য বলছে, গত ৩০ মে থেকে এ পর্যন্ত ভারতের বাজারে থাকা ২৮ হাজার ২৬০ কোটি ৫০ লাখ রুপির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ।
আইডিবিআই ক্যাপিটালের গবেষণা বিভাগের প্রধান এ কে প্রভাকর এনডিটিভিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের আগ থেকেই বাজারের মন্থর গতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের আরোপ করা কিছু নতুন শুল্কের কারণেই শেয়ারবাজারের সংকট শুরু হয়।’
খাতসংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারতের অর্থনীতির এই মন্দার সময় বিদেশি বিনিয়োগের ঘাটতির দায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ওপর বর্তায়। কারণ দেশের এমন অবস্থায় এ ধরনের বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অথচ চলতি সরকারের প্রথম বাজেটেই বিদেশি বিনিয়োগের ওপর করের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর শেয়ারের সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি হারে, প্রায় ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। তার তুলনায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর শেয়ারের সূচক পড়েছে কম হারে। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যম, গাড়ি ও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর শেয়ারের সূচক পতনের হার কম। আর ধাতু শিল্পের খাতে সূচক কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।