টেকনাফ (কক্সবাজার):কক্সবাজারের টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়ায় ধ্বসে যাওয়া পাহাড়ের মাটি চাপায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার ভোরবেলা মুষলধারে বৃষ্টির সময় এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান। তিনি বলেছেন এ পর্যন্ত দুই শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিরা হাসপাতালে রয়েছে। অপর শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
নিহতরা হলো, টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়ার মুহাম্মদ আলমের মেয়ে আফিয়া (৫), একই এলাকার রবিউল হাসানের ছেলে মেহেদী হাসান (১০) ও ৪ নং ওয়ার্ডের আব্দুল গফুরের ছেলে মোঃ খায়রুল। খায়রুন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
টেকনাফ উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ রবিউর হাসান জানান, টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়ার মুহাম্মদ আলমের ও রবিউল হাসানরা পাহাড়ের পাদদেশে বাড়ি করে বাস করছিল। সোমবার দিনগত রাতে থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে বৃষ্টির তোড়ে তাদের বাড়ির উপর অংশে থাকা পাহাড়টি ধ্বসে পড়ে। এতে দুই বাড়ির দুই শিশু মাটি চাপায় ঘটনাস্থলে মারাযায়। বাকিদের মাটি চাপা থেকে বের করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, তার নেতৃত্বে সিপিপি ও টেকনাফ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকেরা উদ্ধার অভিযানে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও অংশ নেন।
টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, বেশ কয়েকজনকে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মাঝে শিশু রয়েছে।
এদিকে ব্যপক ভারী বর্ষণে বেশ কিছু বাড়ি ঘর, মৎস্যঘের ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতেও পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। যে সব রোহিঙ্গা ঢালু নিচু স্থানে বসবাস করছে তাদের ঝুপড়ি ঘরগুলোতে পানি উঠেছে। প্রবল বর্ষণে অনেক রোহিঙ্গা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে।
টেকনাফ থানার পুলিশের ওসি তদন্ত এবিএম এস দোহা জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ ছুটে যায়। তবে তিনি দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। বিস্তারিত নিয়ে পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।