ঢাকা: বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাংসদ জি এম সিরাজ বলেছেন, সরকার চাইলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন এ কারণে তিনি (সিরাজ) নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নবনির্বাচিত সাংসদ হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্যে জিএম সিরাজ এ কথা বলেন। নির্ধারিত সময়ের পর তাঁর মাইক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসদে হই চই করেন বিএনপির সাংসদেরা।
রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠকের পর কেউ নতুন সদস্য হিসেবে সংসদে যোগ দিলে তাঁকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্ধারিত সময়ে তিনি শপথ না নেওয়ায় ওই আসনটি শূন্য হয়। পরে এই আসন থেকে নির্বাচিত হন জিএম সিরাজ।
আজ জিএম সিরাজকে সংসদে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৩ মিনিট সময় দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। নির্ধারিত সময় শেষে তাঁর মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিএনপির সাংসদেরা হই চই শুরু করেন। পরে স্পিকার তাঁকে আরও ১ মিনিট সময় দেন। এ সময়ের মধ্যেও তাঁর বক্তব্য শেষ না হলেও মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তখন আবার বিএনপির সাংসদেরা হই চই শুরু করেন। জিএম সিরাজ মাইক ছাড়াই বক্তব্য দিতে থাকেন। স্পিকার বারবার তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন।
স্পিকার এ সময় জিএম সিরাজের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে চেয়েছেন। প্রথমে ৩ মিনিট ও পরে আরও ১ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। পরে আরও বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
বক্তব্যে জি এম সিরাজ বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি হারেন নি। বিএনপি হারেনি। হেরেছে ১০ কোটি ভোটার, ১৬ কোটি মানুষ। তিনি বলেন, তিনি গত রোববার সংসদে যোগ দেন। সেদিন ছিল এইচ এম এরশাদের শোকপ্রস্তাবের আলোচনা। তাঁর মনে হয়েছে, এখন সংসদে আর আগের মতো জৌলুশ নেই।
তাঁর বক্তব্যের পর জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, বিএনপির সাংসদ শোকপ্রস্তাবকে বলছেন জৌলুসহীন। যেদিন এক টাকায় বাড়ি দিয়েছিলেন, সেদিন সংসদের জৌলুস ছিল।