ঢাকা: জাতীয় সংসদকে নিয়ে দুর্নীতি বিরোধী গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দেওয়া প্রতিবেদনের কঠোর সমালোচনা করেছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেছেন, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে বিদেশিদের শেখানো বুলি আওড়ায় টিআইবি। বাস্তবের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু। বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান, আরোমা দত্ত, আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও কাজী কানিজ সুলতানা।
অনুষ্ঠানে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন-২০১৯’ শীর্ষক খসড়া বিলটি পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার জলি।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার বলেন, কিছুদিন আগে টিআইবি জাতীয় সংসদ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। উনারা উনাদের মতো করে কথা বলেন। উনাদের সম্পর্কে আমরা যদি বলি, তাহলে তো মাথায় হাত পড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমরা (সংসদ সদস্য) জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলি। আমরাও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে আইন পাস করি, এটা কারও দয়ার টাকা নিয়ে নয়, জনগণের টাকায় তাদের রায় নিয়ে। কিন্তু তাদের (টিআইবি) সেই অধিকার নেই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কত টাকা বেতন নেন, সে হিসেব কি কেউ দেন?
প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট দশম জাতীয় সংসদের ওপর টিআইবি পরিচালিত ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিষয়ক একটি আইন অবশ্যই প্রয়োজন। জাতীয় সংসদে আইন বিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। তাদেরকে দিয়ে এই খসড়াটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে সেটিকে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতির নিকট প্রেরণ করা হবে। তিনি ককাসের সদস্যবর্গসহ বিশেষজ্ঞগণ, সুশিল সমাজ, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সভার আহ্বান করবেন। এরপর বিলটি চূড়ান্ত করতে সংসদীয় কমিটির সাথে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ সময় তিনি শিশু আদালত গঠনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এরপর শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি শামসুল হক টুকু ডেপুটি স্পিকারের হাতে ওই বিলের খসড়াটি হস্তান্তর করেন।