ঢাকা: আগামী ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। ইলিশ মাছের প্রজনন বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আজ রবিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।
আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ইলিশ জাতীয় মাছ। বরাবরের মতো এবারও ইলিশের প্রজনন যাতে বাড়ে এবং সকলে যেন ইলিশ খেতে পারে সেজন্য এ সময়ে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইলিশ নিষিদ্ধের সময় যে সব জেলার জেলেরা মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল তাদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ সময়ে মাছ পরিবহন, গুদামজাতকরণ, বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। এটা তখন বেআইনি হবে।
কেউ লুকিয়ে ইলিশ ধরার চেষ্টা করলে তা বরদাশত করা হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জেলেদের মাঝে প্রণোদনায়ও যাতে অনিয়ম না হয় সেদিকে নজরদারি রাখা হবে।
আশরাফ আলী খান বলেন, আমাদের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এর ফলে আমাদের মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের যে আকাল ছিল সেটা কমেছে। ইলিশ মাছে হাট-বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। সমুদ্রসহ নদীর মোহনাগুলোতে মাছের বিচরণ বেড়েছে।
এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ক্যামেরুনের যে মাছ ধরার ট্রলার ঢুকে পড়েছে বিষয়েও একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কোস্টগার্ডের প্রধানকে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।