সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল বিভাগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০০৫ ও ২০১২ সালে প্রদানকৃত দুটি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বেড প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে অত্যাধুনিক বেডগুলো অব্যবহৃত (অকেজো) অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বেড দুটির আনুমানিক মুল্য ২০ লাখ টাকা। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল বিভাগে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আগত রোগীরা।
বেড গুলোকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন বেশ কিছু যন্ত্রাংশ, যার মূল্য আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের দাবী বেড দুটিকে ব্যবহার উপযোগী করতে মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন জানালেও বেডকে ব্যবহার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করতে এবং উন্নত বেডগুলো কাজে লাগাতে বারবার যন্ত্রাংশ সরবরাহের আবেদন করলেও মন্ত্রণালয় থেকে তা সরবরাহ করা হয়নি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বেডগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করতে হলে ডেন্টাল বিভাগে হ্যান্ড পিস, মাইক্রোমোটর, সুসার মেশিন, এক্সাট্রাকশন এলিভেটর, বার, ফিলিং মেটেরিয়ালসহ ছোট ছোট ১০-১৫টি যন্ত্রাংশ প্রয়োজন। এসব না থাকায় বেডগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
ডেন্টাল বিভাগের চিকিৎসক বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন রোগী সেবা নিতে এলেও তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ছোট কিছু যন্ত্রাংশ না থাকায় রোগীদের শুধু ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ দিয়ে বিদায় দিতে হচ্ছে। এ নিয়ে রোগীরা আমাদের অসন্তুষ্ট। তিনি আরও বলেন, বেড দেখে রোগীরা মনে করেন, সব কিছু থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।
দাত ক্ষয় নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা এক রোগী বলেন, আমার দাত ক্ষয় হয়ে গেছে, দাত দেখে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, দাঁতগুলো ফেলে দিতে হবে। তবে সেটি হাসপাতালে সম্ভব হবে না। বাইরের কোনো ডেন্টিস্টের কাছে নিয়ে ফেলতে হবে। পাবেল নামের এক রোগী বলেন, দাঁতে গর্ত হয়ে যাওয়ায় খাবার আটকে ব্যথা হচ্ছে। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসক বলেন, বাইরে গিয়ে ফিলিং করাতে হবে। হাসপাতালে এ ব্যবস্থা নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল থেকে ডেন্টাল বিভাগের ছোট ছোট যন্ত্রাংশের জন্য মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এসব যন্ত্রাংশ সরবরাহ না পাওয়ায় রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।