চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী বুধাবার ঢাকায় এবং বৃহস্পতিবার সারাদেশে মানববন্ধন করবে বিএনপি। এছাড়া ২৬শে সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে ও ২৯শে সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর ২১শে সেপ্টেম্বর সিলেটে সমাবেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবশেষে রংপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আজ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে একটা মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের এই নেত্রীকে শুধুমাত্র গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার কারণেই মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু তার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ।
মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি তার পছন্দ মতো হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু এর অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। তিনি প্রচন্ড অসুস্থ। অথচ পিজি হাসপাতালের পরিচালক ও সহকারি পরিচালক বলেছেন ম্যাডাম সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। এ কথায় পরিষ্কার বুঝা যায়, তাকে চিকিৎসা না দিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানোর চক্রান্ত চলছে। সম্প্রতি উনার (খালেদার) পরিবার এবং আমরা দেখা করতে গিয়ে দেখেছি তিনি একা বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। তাকে দু’জনের সহায়তা নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। তার দু’টি হাতে গ্রিফ করতে পারেন না। উনার ডায়াবেটিসের অবস্থা ভাল না।
ফখরুল আরও বলেন, খালেদা জিয়ার শরীর তো এমনিতেই নুয়ে গেছে। আর সঠিক চিকিৎসা যদি না হয় তাহলে তো তার শরীরের অবস্থা আরও বিপদজ্জনক অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াবে। উনাকে জেলে রাখা হয়েছে একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে অপশনগুলো আছে সেগুলো থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এটা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। একমাত্র মুক্তির মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আবদুুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।