ডেস্ক: ঘূর্ণিঝোড় ডরিয়ানের আঘাতে বাহামাস দ্বীপপুঞ্জে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩০ জনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আক্রান্ত অঞ্চলে ত্রাণ সেবা জোরদারের ঘোষণা দিয়েছেন সরকার। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে আবাকো দ্বীপ। সেখানে মৃতদেহ বহনের জন্য ২০০ ‘বডি ব্যাগ’ পাঠানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমস।
খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহের রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাহামাসে তা-ব চালিয়েছে ডরিয়ান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও উত্তর ক্যারোলাইনার ওপর দিয়ে বইছে ঘূর্ণিঝড়টি। শুরুর দিকে ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার আগ দিয়ে তা দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বাহামাসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুয়ানে স্যান্ডস সতর্ক করেছেন, সেখানে মৃতের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে পারে। তিনি বলেন, জনগণকে মৃতের সংখ্যা ও দুর্দশা নিয়ে অকল্পনীয় তথ্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের আশঙ্কা ডরিয়ানের আঘাতে গ্র্যান্ড বাহামাস দ্বীপের ৪৫ শতাংশ বাড়িঘর ও আবাকোস দ্বীপের ১৩ হাজার স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে বা ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্র্যান্ড বাহামাসের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, গ্রেট আবাকো দ্বীপ দৃশ্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেখানে নেই কোনো পানি, বিদ্যুৎ বা খাবার। একের পর এক মৃতদেহের স্তুপ তৈরি হচ্ছে দ্বীপটিতে। এমন সংকটের মুহূর্তে খাবার, পানি, ত্রাণ ছিনতাই বন্ধে মিলিশিয়া গঠন করা হয়েছে।
বাহামাসের মধ্যে গ্র্যান্ড বাহামাস ও আবাকোস দ্বীপে বর্তমানে ত্রাণ অভিযান পরিচালনার দিকে জোর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। অনবরত চলছে উদ্ধার ও খোঁজ অভিযান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মার্কিন উপকূলরক্ষীরা ২০১ জনকে উদ্ধার করেছেন। এদিকে, ত্রাণ বিতরণের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছে প্ল্যান ও হেলিকপ্টার। আনুমানিক ৭৬ হাজার মানুষের জরুরি খাদ্য ও আশ্রয় প্রয়োজন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।