সুনামগঞ্জ: বিয়ে না করে বান্ধবীকে নিয়ে সংসার করার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসিফ ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তদন্তে সঠিক প্রমান হওয়ার পর ইউএনওকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে।
জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ময়মনসিংহের ভুক্তভোগী এক নারী। এতে তিনি বলেছেন, বান্ধবীর মাধ্যমে গত বছর এপ্রিল মাসে আসিফ ইমতিয়াজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে কয়েক দিন ফোনে কথা হয়। এরপর বিয়ের কথা বলে ইমতিয়াজ ভাড়া বাসা, হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে তাকে নিয়ে থাকেন। এরই মধ্যে তার নামে অ্যাকাউন্ড খুলে সেখানে এক মাসেই ২০ লাখ টাকা লেনদেন করেন ইমতিয়াজ।
ভোক্তভোগী নারী আরও বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি গর্ভবতী হন। এটা ইমতিয়াজকে জানানোর পরই আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। সন্তান নষ্ট করার জন্য প্রচণ্ড চাপ দেন। এক সপ্তাহ পরই তিনি আমাকে ফেসবুকসহ সব যোগাযোগমাধ্যমে ব্লক করে দেন। চট্টগ্রাম গিয়ে (আগের কর্মস্থল) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেও পারিনি।
পরে ডিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনা বলার পর তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন এবং একজন এডিসিকে দায়িত্ব দেন। এডিসি তার কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন ইমতিয়াজ। আমি সব ডকুমেন্ট দেয়ার পর এডিসি তাকে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করার সুপারিশ করেন। সুপারিশ মতে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইমতিয়াজকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে বদলি করা হয়। এখন তিনি আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, আমি ইউএনওকে ডেকে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (উপপরিচালক স্থানীয় সরকার) তদন্তভার দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ ইমতিয়াজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। এরপর তিনি প্রত্যুত্তরে লিখেন- অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এখন মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।