ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়ায় এক অন্ত:সত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম নাসরিন আক্তার মঞ্জু (২৭)। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর সতর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নাসরিন সৌদি প্রবাসী আরব মমিনুল হকের স্ত্রী। এঘটনায় প্রবাসী স্বামী, শাশুড়ি ও দুই ননদকে আটক করেছে পুলিশ।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও নিহত নাসরিনের মামা ইকবাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নাসরিনের স্বামী মনিমুল হক ফোন করে জানান নাসরিনের শারীরিক অবস্থা ভাল না। বিকেলে নাসরিনকে অসুস্থ অবস্থায় ছাগলনাইয়া থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সৌদি প্রবাসি মনিনুল হক (৪০), শাশুড়ি জাহানারা (৬৫), ননদ রাবেয়া (৩২) ও সাফিয়াকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহত নাসরিনের বড় বোন ছকিনা আক্তার জানান, ২০০৮ সালে মমিনুল হকের সঙ্গে নাসরিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শাশুড়ি জাহানারা, ননদ সাফিয়া, দেবর তারেক (প্রবাসি) নাসরিনের উপর নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যান তিনি। এ বিষয়ে ২০১৫ সালে নাসরিন থানায় মামলা করেন।
ওই সময় নাসরিনের স্বামী দেশে ফিরে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে নাসরিনকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। নাসরিনের স্বামী ফের প্রবাসে চলে গেলে তার উপর একইভাবে নির্যাতন করতো শাশুড়ি ও ননদরা। গত সাত-আট মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে মমিনুল । সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় নিয়মত ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। নিহত নাসরনি ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেনের মেয়ে।