বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে ‘বিএনপি নেতাদের নেড়ি কুত্তার মতো পিটানোর’ ঘোষক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের ‘শিষ্টাচার বিবর্জিত বক্তব্য এবং নিস্ফল আস্ফালনের’ তীব্র প্রতিবাদ জানান দুই ছাত্রদল নেতা।
তারা বলেন, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের মাধ্যমে এটা আবারও দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেল ছাত্রলীগ একটা ‘বেয়াদব’ সংগঠন। তারা যে শুধু প্রতিপক্ষকে কটূ ভাষায় আক্রমণ করে, তা নয়, নানা সময়ে এই সংগঠনটির অশালীন আক্রমণের শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতারাও। তবে এবার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য ইতিহাসের সকল শিষ্টাচারকে পাশ কাটিয়ে, ন্যূনতম রাজনৈতিক সম্মানবোধের ধার না ধেরে এটাই প্রমাণ করেছে- ছাত্রলীগ এখন আর কোনো ছাত্র সংগঠন নয়, বরং জঙ্গি সংগঠন।
রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীবেষ্টিত হয়ে, সরকারের প্রত্যক্ষ মদত নিয়ে অনেক বড় বড় কথাই বলা যায়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করার সাহস হারিয়ে ছাত্রলীগ এখন উল্টা-পাল্টা বকছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটি সরকারের ছত্র ছায়ায় বরাবরই ব্যস্ত থেকেছে টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজি আর দখলবাজি নিয়ে।
ছাত্রদল নেতাদ্বয় অবিলম্বে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার ভাষা’ পরিহার করে রাজনৈতিক শিষ্টাচার আত্মস্থ করতে বলেন। অন্যথায় এ ধরনের ভাষা অব্যাহত রাখলে দেশব্যাপী জঙ্গি ছাত্রলীগকে প্রতিহত করা হবে ।
অপর এক বিবৃতিতে ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বুধবার বকশিবাজারে আদালতের বাইরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর ‘ছাত্র-যুবলীগের বর্বরোচিত হামলার’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।