কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের সেই দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার ও যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদ (৪২) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এর আগে গতকাল শনিবার ভোরে ধরা পড়েন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের সেই দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার।
আজ রবিবার ভোরে তিনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সঙ্গে ধরা পড়েছেন নুর মোহাম্মদের দেহরক্ষী আমানুল্লাহও। অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা এই ডাকাত বাহিনীর (নুর মোহাম্মদ) হাতে গত দুই বছরে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুক ২২ জন নিরীহ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন।
টেকনাফের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুকসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোক হত্যার শিকার হয়েছেন। নুর মোহাম্মদরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী অপকর্মেও জড়িত। টেকনাফ থানার পুলিশ গত এক সপ্তাহ ধরে কৌশল নিয়েছিল নুর মোহাম্মদ ডাকাতকে ধরার জন্য।
এর আগে ওমর ফারুকের হত্যায় জড়িত তিন রোহিঙ্গা আটকের পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নুর মোহাম্মদ ও আমানুল্লাহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির এজাহার নামীয় আসামি।