নিজের স্বার্থেই কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, তার (কাদের সিদ্দিকী) প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য তিনি ফ্রন্টে আসেননি। তিনি রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় ফ্রন্টে এসেছিলেন। আর স্বার্থ বিবেচিত হয়নি বলেই সেখান থেকে ফেরত গেছেন। তা বোঝার মতো সক্ষমতা দেশের সাধারণ মানুষের আছে। আর তারেক রহমান নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বলেই তো পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। তারেক রহমানকে নেতা আপনাকে বানাতে হবে কেন ? নেতা তৈরি হয় জনগণের ইচ্ছার ওপর।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। গয়েশ্বর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতের মাধ্যমে হবে, এই শব্দটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হয়।
কারণ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার কখনও আদালত করে না। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার হয় জনগণের আদালতে। বিশ্বাস সঙ্গে বলতে পারি, জনগণের আদালতে তিনি এখনও দোষী সাব্যস্ত হয়নি।
রোহিঙ্গাদের সমাবেশে সরকারে ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে সরকার। যদি ইন্ধন না দেয়, তাহলে তারা লাখ লাখ রোহিঙ্গা সমবেত হয়ে সমাবেশ করে কীভাবে? বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার যেখানে সভা-সমাবেশ করতে দেয় না, সেখানে উন্মুক্ত ময়দানে রোহিঙ্গারা সমাবেশ করছে। সেখানে আমি তো মনে করি, সরকারের ইন্ধন রয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।