জেলা প্রশাসকের খাস কামরায় সংঘটিত ঘটনায় কারও দোষ থাকলে বিচার প্রত্যাশিত হলেও ওই ভিডিওটি যারা ছড়িয়েছেন তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মাত্রা অতিক্রম করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, এখানে আমাদের যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, পারস্পরিক সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হবে। সেটা যখন হয় না, সেটা তখন নির্যাতনের পর্যায়ে চলে যায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, নারীও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে, পুরুষও নির্যাতকের ভূমিকায় থাকতে পারে। কথা হচ্ছে, এখানে (ভিডিওর ঘটনা) যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে যে, কেউ একজন আসলেই দোষ করেছেন, সেই দোষের বিচারটা যেন হয়। তিনি আরও বলেন, যারা এটাকে ভাইরাল করেছে, খুব একটা সুরুচির পরিচয় দেয়নি। সংস্কৃতিবান ব্যক্তি কিন্তু সংযমী হন।
কতখানি সে করতে পারে, কতখানি সে করতে পারে না; কার প্রাইভেসিতে যুক্ত করতে পারে আর কতটটুকু পারে না সেটাও। দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই মানবাধীকার কর্মী।