শার্শায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বীজতলা

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

GHG-1419507307চলতি মৌসুমে শীত জনিতরোগে আক্রান্ত হয়েছে শার্শা-বেনাপোলের ১৮৩টি গ্রামের অধিকাংশ ধানবীজতলা। এবার এ অঞ্চলে এক হাজার সাতশ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বীজতলা নষ্ট হওয়ার জন্য প্রকৃতির বৈরি আবহাওয়াকে দায়ী করছেন চাষিরা। কয়েকদিনের শীত ও কুয়াশার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে লাবী লাগানো ধানের পাতাখোলা। সবুজ ধানের পাতা শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে লাল রং ধারণ করছে। কৃষকরা ঔষধ ও সার ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এতে ইরি-বোরোচাষে কৃষকদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা।

কৃষি এলাকা হিসোবে খ্যাত শার্শা বেনাপোলের লাখো কৃষক ইরি বোরো ধান চাষে মাঠে নেমেছে। আগাম করেই শুরু হয়েছে কৃষি জমিতে পানি দেওয়া, চাষ ও রোপনের কাজ। তবে প্রচন্ড ঠান্ডায় পাতাখোলা নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য ইরি-বোরো চাষ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানিয়েছে, এবার অন্যান্য বারের চাইতে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্তের সংখ্যা কম।

উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকার জানান, এবার উফশী ও হাইব্রিড জাতের ২২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এক হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা করা হয়েছে। ইনজুরির প্রতিকারে সকাল ও বিকেলে বীজতলায় পানি দেওয়া, জমিতে ছাই ছিটানো, ও সকালের শিশির ঝরিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।

শার্শা স্বরূপদাহ গ্রামের নূর ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডা ও শৈত প্রবাহের কারলে এ বছর পাতা ভাল হয়নি। আট বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগানোর ইচ্ছা থাকলেও পাতা নষ্ট হওয়ায় চার বিঘা জমিতে ধান লাগানো যাবে না।’

উলাশি গ্রামের নাসির উদ্দিন বলেন, ‘শৈত প্রবাহের কারণে পাতা মরে যাচ্ছে। মাঝখানে সামান্য গরম পড়ায় পাতার চেহারা অনেকটা ভাল হচ্ছিল। তবে আবার শীত পড়ায় পাতা মরে যাচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *