বিয়ের আগে রক্তপরীক্ষা জরুরি কেন?

লাইফস্টাইল

image_111125_0বিয়ের আগে রক্তপরীক্ষা করিয়েছেন, এরকম লোকের সংখ্যা হাতে-গোনা কয়েকজন। পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান মেলানোর পাশাপাশি রক্তপরীক্ষাও হয়ে উঠেছে বিয়ের অনিবার্য অংশ। কেননা-

১) এই রক্ত পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো ভবিষ্যতে সন্তান সুস্থ হবে কি না- তা দেখা। তাই হবু মা ও বাবার নির্দিষ্ট কিছু রক্তপরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

২) তাছাড়া দুজনের ব্লাডগ্রুপ এক রকম না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাই  আগে থেকেই রক্তপরীক্ষা করিয়ে দেখে উচিত কার রক্তের গ্রুপ কী।

৩) এছাড়া ভবিষ্যতে যদি কোনো অসুখে বা দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে ব্লাড গ্রুপ জানা থাকলে বাড়ির লোকজনকে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।

৪) টিসি. ডিসি, ইএসআর , কোলেস্টেরল, আরএইচ ফ্যাক্টর, এইচআইভি, আয়রন লেভেল ইত্যাদি কিছু রুটিন পরীক্ষা ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই করানো উচিত। তাহলে প্রথম থেকেই একটা মেডিকেল হিস্ট্রি থাকবে।

৫) এছাড়াও থাইরয়েড, সুগার, থ্যালাসেমিয়া, এসটিডি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড

ডিজিজ), হেপাটাইটিস বা টিউবারকিউলোসিসের মতো সমস্যা রয়েছে কি না তা জানার জন্য বিয়ের আগে রক্তপরীক্ষা আবশ্যক। যদি কেউ থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার বা মেজর হন, তাহলে সে কীরকম জীবনসঙ্গী খুঁজবে এবং ভবিষ্যতে সন্তান পরিকল্পনা করতে পারবে কি না, বা সন্তান জন্মালেও সে কতটা সুস্থ হবে, সে সম্পর্কে আগে থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের গাইডলাইন থাকলে ভালো হয়।

৬) সর্বোপরি অনেকেই হয়তো বংশানুক্রমিক ভাবে কোনো রোগে আক্রান্ত। কিন্তু কোনো লক্ষণ না থাকায়, তা জানতে পারেননি। বিয়ের আগে এই সবকিছুই জেনে নেয়া প্রয়োজন।

৭) যদি পেলভিক ইনফেমেটারি ডিজিজের মতো কোনো যৌনসমস্যা থাকে, তাহলে কিন্তু সন্তান পরিকল্পনার সময় তা টের না পাওয়া গেলে পরে মারাত্মক জটিল হতে পারে পরিস্থিতি। তাই কোনোরকম ইগো বা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না রেখে, বিয়ের আগেই করিয়ে নিন প্রয়োজনীয় চেকআপ। পরে আফসোস করার থেকে সময় থাকতে থাকতেই সতর্ক হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *