নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর বাজারে প্রধান ডাকঘরের পশ্চিম পাশে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। দৃষ্টিনন্দন এ পাঁচ তলা বাড়িটির মালিক তেজগাঁও শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মো.ফজলুল হক। সরকারি জমি দখল করে প্রায় ছয় শতাংশ জমির ওপর তিনি এ ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ওই ভবনের নিচ তলায় তিনি গড়ে তুলেছেন রাজনৈতিক কার্যালয়।
তবে দখলদার শ্রমিকলীগ নেতা মো.ফজলুল হক বলছেন, ভিন্ন কথা। তাঁর দাবি, সরকারি জমি সাথে তারও কিছু জমি কেনা রয়েছে। তাই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, শ্রীপুর পৌর বাজারের সরকারি পেরিফেরী ভুক্ত জমির এসএ ২২৪০ ও আরএস ৪৩৬১ দাগের ছয় শতাংশ জমি দখল করে পাঁচতলা ভবনের পাঁচ তলার ছাদ নির্মাণ কাজ শেষ করে ফেলেছেন পৌর এলাকার কেওয়া বাজারের বাসিন্দা মো.ফজলুল হক। এখন ইটের গাঁথুনির কাজ চলছে দিনে রাতে। তবে সরকারি জমি দখল করে আলিশান বাড়ি নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদানে তেমন কোন উদ্দ্যোগ নেয়নি স্থানীয় ভূমি অফিস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, যেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, এখানে কোন ব্যক্তির নামে জমি নেই। এখানে একটি টিনের দোকান ঘর ছিল। একসময়ের খুব অল্প আয়ের মানুষ ছিলেন মো.ফজলুল হক। হঠাৎ ঢাকার তেজগাঁও গিয়ে শ্রমিকলীগের রাজনীতি শুরু করে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এর আগেও বনের জমি দখল করে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করেছে সে। সরকারি কোন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয় না। এতে সে নিজেকে এই অ লের রাজা ভাবতে শুরু করেছেন।
উপজেলা ভূমি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী জানান, ভবন নির্মাণের সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একবার মৌখিক বাঁধা দিলেও এরপর তেমন কোন জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর পৌর ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকর্তা মো. আরিফ উল্লাহ্ বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি কিছু দিন হয়। আমি আসার আগেই সরকারি জমি দখল করে ওই ভবন তৈরি হচ্ছে। আমরা সরকারি জমিতে ভবন করছে এমনটি জানিয়ে এসিল্যান্ড অফিসে পাঠিয়েছি।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এমডি শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করেছি প্রায় এক মাস হয়। এর আগেই ওই বাড়ি নির্মাণ শুরু হয়। তাকে উচ্ছেদের জন্য মামলার অনুমোদন চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।