সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মল্লিকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামের খুনের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে মাদারীপুরের শিবচরের এক মসজিদের ইমাম ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম ওহিদুর জামান (২৮)। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কেশবপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, ওহিদুর সেখানকার একটি মসজিদের ইমাম। দিদারুল তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ওহিদুরের বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতি থানার পশ্চিমপাড়া গ্রামে। আর দিদারুলের বাড়ি খুলনার তেরখাদায়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ২১ আগস্ট রাতে উপজেলার মল্লিকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে তাঁর শয়ন কক্ষে গলা কেটে হত্যা করা হয় । পরে দিদারুলের বড় ভাই মিজানুর রহমান অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মরদেহের পাশে চিরকুটে লেখা ছিল, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাওহীদের সদস্যরা জড়িত।
ওসি জানান ওই মামলার পর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওহিদুরকে শনাক্ত করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওহিদুর খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি আরও জানান, দিদারুল ও ওহিদুর দুজন মসজিদে ইমামতির চাকরির পাশাপাশি সোনার বারের ব্যবসা করতেন। কয়েক মাস ধরে দিদারুল তাঁর মুনাফার টাকার জন্য ওহিদুরকে চাপ দিতে থাকেন। এ কারণে দিদারুলকে খুন করার পরিকল্পনা করেন ওহিদুর।
গ্রেপ্তারের পর ওহিদুরকে সোনারগাঁয়ে আনা হয়। দুপুরের দিকে তাঁকে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি করা হয়। এ সময় তাঁর উপস্থিতিতে মসজিদের পাশের পুকুর থেকে খুনের কাজে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করে পুলিশ। সাংবাদিকদের ওহিদুর বলেন, তিনি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওহিদুর জামান থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।